দ্বিতীয় বিয়ে করায় স্বামীর গোপনাঙ্গ কাটার চেষ্টা, স্ত্রী আটক
সুনামগঞ্জ ও তাহিরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০২৩, ১১:০০ পিএম
তাহিরপুরে দ্বিতীয় বিয়ে করায় স্বামীর গোপনাঙ্গ কাটার চেষ্টা করেন প্রথম স্ত্রী। খবর পেয়ে অভিযুক্ত ওই স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার গভীর রাতে উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের কামরাবন্দ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তির নাম আজিজুল ইসলাম (২৭)। তিনি কামরাবন্দ গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে। অভিযুক্ত নারীর নাম জহুরা বেগম (২৪)। তিনি আজিজুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী। তিনি বাদাঘাট ইউনিয়নের কামড়াবন্দ গ্রামের শাহনুর মিয়ার মেয়ে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালে বাদাঘাট ইউনিয়নের কামড়াবন্দ গ্রামের শুকুর আলীর ছেলের সঙ্গে একই গ্রামের শাহনুরের মেয়ে জহুরা বেগমের বিয়ে হয়। নিজেরা পছন্দ করে বিয়ে করেন। বিয়ের কয়েক মাস পর তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিবাদের সৃষ্টি হয়। পরে তারা পৃথকভাবে বসবাস শুরু করেন।
জহুরা তার বাবার বাড়িতে থেকে একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করা শুরু করেন। পরে আজিজুল দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এ নিয়ে জহুরা আজিজুলের বিরুদ্ধে মামলাও করেন। আজিজুলের পরিবারের দাবি, দ্বিতীয় বিয়ের পর আজিজুল প্রথম স্ত্রী জহুরাকে ডিভোর্স দেন; কিন্তু জহুরা দাবি করেছেন- তাদের মধ্যে কোনো ছাড়াছাড়ি হয়নি। দ্বিতীয় বিয়ের পরও জহুরা ও আজিজুলের মধ্যে গোপন যোগাযোগ ছিল। সোমবার রাতে বাবার বাড়িতে জহুরা স্বামী আজিজুলকে ডেকে আনেন। পরে গভীর রাতে ব্লেড দিয়ে আজিজুলের গোপনাঙ্গ কেটে ফেলার চেষ্টা করেন জহুরা। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় মঙ্গলবার ভোরে প্রথমে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে এবং পরে সেখান থেকে তাকে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। গুরুতর আহতাবস্থায় বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আজিজুল।
বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই নাজমুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে মঙ্গলবার ভোরেই অভিযুক্ত জহুরাকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। তার কাছ থেকে ব্লেডটি উদ্ধার করা হয়েছে।
তাহিরপুর থানার ওসি কাজী নাজিম উদ্দীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে যুগান্তরকে বলেন, অভিযুক্ত জহুরাকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।