বিষাক্ত ট্যানারি বর্জ্য এবং ক্রোমিয়ামযুক্ত শ্রিম্প পাউডার দিয়ে তৈরি হচ্ছিল মুরগি ও মাছের খাবার। চট্টগ্রাম নগরীর চাক্তাই এলাকায় ফিড (খাবার) উৎপাদনকারী এমন দুটি প্রতিষ্ঠানের সন্ধান মিলেছে।

সোমবার টানা ৪ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত র‌্যাব-৭ এর সহায়তায় প্রতিষ্ঠান দুটি থেকে ১৫০ বস্তা ট্যানারি বর্জ্য ও ৩৩ বস্তা ক্রোমিয়ামযুক্ত শ্রিম্প পাউডার জব্দ করেন। এ সময় জরিমানা করা হয় ৪ লাখ টাকা।

র‌্যাব-৭ চট্টগ্রামের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

র‌্যাব  সূত্র জানায়, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী চাক্তাই এলাকায় বিষাক্ত ক্রোমিয়ামযুক্ত ট্যানারি বর্জ্য মিশিয়ে পোলট্রি ও ফিশ ফিড উৎপাদন করে আসছিল। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ওই এলাকায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্তের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে মেসার্স আদিত্য ট্রেডার্স থেকে ১৫০ বস্তা ক্রোমিয়ামযুক্ত ট্যানারি বর্জ্য এবং মেসার্স নূর এন্টারপ্রাইজ থেকে ৩৩ বস্তা ক্রোমিয়ামযুক্ত শ্রিম্প পাউডার জব্দ করা হয়। জব্দ করা ক্রোমিয়ামযুক্ত ট্যানারির বর্জ্য ও শ্রিম্প পাউডার মাছ এবং মুরগির খাবারের সঙ্গে মেশানো হচ্ছিল। পণ্যগুলো জনসমক্ষে ধ্বংস করা হয়। এ সময় মেসার্স আদিত্য ট্রেডার্সের মালিক আশু দাসকে ২ লাখ টাকা এবং নূর এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. নূর আবছারকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

র‌্যাব কর্মকর্তা মো. নূরুল আবছার জানান, ক্রোমিয়ামযুক্ত ট্যানারি বর্জ্য এবং শ্রিম্প পাউডার মাছ ও মুরগির মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করলে ক্যান্সারসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ ধরনের অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে র‌্যাব-৭ এবং জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে।