টঙ্গীতে কাউন্সিলর আবুল হোসেনের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদকের চিঠি
গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০২৩, ১১:০১ পিএম
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গী জোনের ৫৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল হোসেনের জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অনুসন্ধানের জন্য চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ১১ সেপ্টেম্বর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় গাজীপুরের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এ চিঠি প্রেরণ করা হলেও বিষয়টি এত দিন প্রকাশ পায়নি।
মঙ্গলবার এটি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সভাপতি সাদেক ও বাসেদ টাওয়ার মধুমিতা শেরেবাংলা রোড টঙ্গী গাজীপুরসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বরাবর আলাদা আলাদা চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে রেকর্ডপত্র ও তথ্যাদি চাওয়া হয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, টঙ্গীর মধুমিতা এলাকার মেগা সিটি, অগ্রণী টাওয়ার, মিতালি হাউজিং, বিসমিল্লাহ টাওয়ার ১ ও ২, স্বপ্ননীল হাউজিং, সততা টাওয়ার, সাদেক ও বাসেদ টাওয়ার, মজিদ টাওয়ার, তিতাস টাওয়ারসহ সিটি করপোরেশনের আওতাধীনে কোনো প্লট, ফ্ল্যাট ও দোকান বরাদ্দ আছে কিনা, তা জানতে চাওয়া হয়। সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে ওয়ার্ড কাউন্সিল আবুল হোসেনের জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে যাবতীয় তথ্য প্রেরণের জন্য বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর আবুল হোসেন যুগান্তরকে বলেন, তিনি চারবারের ওয়ার্ড কাউন্সিলর। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তিনি সম্পদের আয়কর নিয়মিত পরিশোধ করেন। চিঠি পেয়ে তিনি দুদকে গিয়েছিলেন। দুদক কর্মকর্তাদের সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
তিনি টঙ্গী থানা যুবলীগের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বর্তমানে আওয়ামী লীগের সদস্য হিসেবে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, তার কোনো অবৈধ সম্পত্তি নেই। তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে দুইজন কুচক্রী দুদকে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (যুগ্ম সচিব) এএসএম সফিউল আজম বলেন, দুদকের চিঠি পেয়েছি। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১নং জোন টঙ্গী। ওই জোনের প্রধান নির্বাহীকে দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দুদকে পাঠিয়ে দেব।