উৎসে কর বৃদ্ধি: সাবরেজিস্ট্রি অফিসে কমেছে জমি বিক্রি
যুগান্তর প্রতিবেদন, নবাবগঞ্জ
প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:৩৬ পিএম
সরকারিভাবে উৎসে কর ‘অস্বাভাবিক রকম’ বেড়ে যাওয়ায় দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলায় হঠাৎ করে জমি ক্রয়-বিক্রয় কমে গেছে। দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় রাজধানীর পার্শ্ববর্তী এ উপজেলা দুটিতে উৎসে কর বৃদ্ধির ফলে জমি কেনা সম্ভব হচ্ছে না বলে ভুক্তভোগীদের দাবি।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জের দলিল লেখক সমিতির সদস্যরা বলেন, আগে প্রতিদিন শতাধিক দলিল উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার অফিসে সম্পাদন হতো। কিন্তু হঠাৎ করে জমি ক্রয়-বিক্রয় কমে গেছে।
দলিল লেখক মো. ছোরহাব আলী সরকার জানান, দোহার ও নবাবগঞ্জে উৎসে কর বৃদ্ধির ফলে এখন দৈনিক গড়ে ১৫ থেকে ২০টির বেশি দলিল হচ্ছে না। এর অন্যতম কারণ দোহার নবাবগঞ্জ উপজেলা দুটি সরকারি গেজেটে ঙ শ্রেণি হওয়ায় দলিলে উল্লেখিত ভূমির মূল্যের ৬ পার্সেন্ট বা কাঠাপ্রতি ৫০ হাজার টাকার অধিক কর ধার্য করা হয়; যা গত ৩ অক্টোবর অর্থ মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আয়কর বিভাগ এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করেন। এর ফলে এ অঞ্চলে জমিক্রয়ের দলিল সম্পাদক কমে গেছে। সরকার এখন রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে।
তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার আহবান জানান। তা না হলে সাধারণ মানুষ তথা নদীভাঙন কবলিত হতদরিদ্র, ভূমিহীন লোকজন নতুন করে আর জমি ক্রয় করতে পারবে না।
অপরদিকে দোহার উপজেলার দলিল লেখক মো. মিলন বলেন, পদ্মার ভাঙনে দোহার উপজেলার অসংখ্য লোক ভূমিহীন, যাদের বাড়িঘর পদ্মা গ্রাস করেছে। সাধ্য অনুযায়ী অল্প একটু জমি কিনে নিজেদের একটা ঠিকানা তৈরি করেন হতদরিদ্র ভূমিহীন মানুষ। কিন্তু হঠাৎ উৎসে কর বৃদ্ধির ফলে উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার অফিসে এক সপ্তাহ ধরে দলিল সম্পাদন প্রায় জিরোতে নেমে এসেছে। আগে প্রতিদিন দেড়শ থেকে ২শ জমির দলিল হতো; এখন নেই বললেই চলে।
নবাবগঞ্জ উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার আবুল কালাম আজাদ বলেন, দলিল সম্পাদন (রেজিঃ) কমেছে। কর্তৃপক্ষ এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জমি ক্রয়-বিক্রয়ে নতুন উৎসে কর নির্ধারণ করেছেন।