সুন্দরগঞ্জে হচ্ছে পল্লীবন্ধু এরশাদ হাসপাতাল
সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৩, ১২:৫৮ পিএম
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হতদরিদ্র মানুষের মাঝে উন্নত চিকিৎসাসেবা দিতে নির্মাণ করা হয়েছে ২০ শয্যাবিশিষ্ট পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ হাসপাতাল। অতি শিগগিরই শুরু হতে যাচ্ছে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম।
এই উপজেলার ১৫ ইউনিয়ন ও পৌরসভা মিলে ৮ লাখ মানুষের মাঝে উন্নত চিকিৎসাসেবার জন্য রয়েছে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট একমাত্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত কমপ্লেক্সটিতে নেই কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্রপাতি ও প্যাথলজি বিভাগ। কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে উন্নত যন্ত্রপাতি কমপ্লেক্সটিতে সরবরাহ করা হলেও বর্তমানে তা ব্যবহার অনুপযোগী। রোগীদের বেশি ভাগকে বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে।
সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির যখন এমন অবস্থা ঠিক সেই সময়ে বেসরকারি উদ্যোগে উন্নত চিকিৎসার প্রতিশ্রুতি নিয়ে নির্মিত হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ হাসপাতালটি মানুষের মাঝে চিকিৎসাসেবায় আশার আলো দেখাচ্ছে।
হাসপাতালটি প্রত্যন্ত জনপথ সুন্দরগঞ্জ-রংপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের রামদেব গ্রামে নির্মাণ করা হয়েছে। এই হাসপাতালটি স্থানীয় মানুষ তথা সুন্দরগঞ্জের মানুষের উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে স্থানীয় এমপি ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ করেছেন।
হাসপাতালটি নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় তিনি যুগান্তরকে বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে এটি ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল হলেও ভবিষ্যতে বেশি শয্যায় উন্নীত করা হবে। এর মধ্যে থাকবে ডায়ালাইসিস, সব প্রকার প্যাথলজি টেস্ট। সার্বক্ষণিক থাকবে অ্যাম্বুলেন্স সেবা। পরিকল্পনা রয়েছে কার্ডিওলজিস্ট ইউনিট চালু করা।
আরও পড়ুন: ট্রলারডুবির ঘটনায় আরও ২ লাশ উদ্ধার, এখনো নিখোঁজ ৩
তিনি আরও বলেন, উত্তরবঙ্গে কোনো বাইপাস ওপারেশন হয় না। অনেকেই টাকা-পয়সা খরচ করে ঢাকা বা ভারতে যায়। আমি এই হাসপাতালে কার্ডিওলজি ইউনিট চালু করব। পরিকল্পনা রয়েছে ক্যানসার ইউনিটও খোলার। এ ছাড়া যেসব গর্ভবতী মা থাকবেন, তাদের ১টি করে কার্ড দেওয়া হবে, যাতে তারা গর্ভবতী হওয়া থেকে শুরু করে বাচ্চার মা হওয়া পর্যন্ত পরবর্তী বাচ্চা জন্মের ৩ মাস পর্যন্ত সার্বক্ষণিক চিকিৎসকের সহযোগিতা পেতে পারেন। আশা করছি এলাকাবাসীর সার্বিক সহযোগিতা পেলে হাসপাতালটি নার্সিং ইনস্টিটিউট চালু করা হবে। যাতে করে এলাকার গরিব শিক্ষার্থীরা দক্ষতা অর্জন করে নিজেরা স্বাবলম্বী হয়ে মানুষের সেবা করতে পারে।