‘তাদের লাফালাফি বিদেশি প্রভুদের মদদে’

রাঙামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:৪৯ পিএম

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী এ সরকারের অধীনে এবং সঠিক সময়ে। নভেম্বরে তফশিল, নির্বাচন জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্ত অনেকটা চূড়ান্ত। নির্বাচন সম্পূর্ণ সুষ্ঠু ও অবাধ হবে। তাই আগ্রহীরা আসুন, নির্বাচনে জনপ্রিয়তা যাচাই করুন।
রোববার অনুষ্ঠিত জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
হানিফ বলেন, বিএনপি-জামায়াত ভালো করে জানে তারা নির্বাচনে কখনো জিতবে না। কারণ জনগণ তাদের আর চায় না। সেজন্য নির্বাচন বানচালে নানা ষড়যন্ত্রে উঠেপড়ে লেগেছে বিএনপি-জামায়াত। সুষ্ঠু নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে চায় তারা। তাদের লাফালাফি বিদেশি প্রভুদের মদদে। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হবে না। সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আমরা বিজয় ছিনিয়ে আনবই। হাতে আর বেশি সময় নেই। তাই নেতাকর্মীদের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
ভিসানীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আপনারা (যুক্তরাষ্ট্র) বলেছিলেন বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন দেখতে চান। এতে যারা বাধাগ্রস্ত করবে, কারচুপির আশ্রয় নিতে চায় তাদের জন্য আলাদা ভিসানীতি প্রয়োগ করবেন। আমরা তো বারবার বলে আসছি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে হবে; কিন্তু নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে ব্যাপক ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত। তাই আলাদা ভিসানীতি তাদের জন্যই হওয়ার কথা; কিন্তু বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হয়েও আরেকটি দেশের ওপর আলাদা ভিসানীতি প্রয়োগ, তা অপমানজনক। আপনারা কী আসলেই সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চান, নাকি ভিসানীতির অন্তরালে কোনো ষড়যন্ত্র রয়েছে। যদি ভিসানীতির অন্তরালে কোনো ষড়যন্ত্র থেকে থাকে, তাহলে বাংলাদেশের মানুষ তা কখনো বরদাশত করবে না।
রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াশিকা আয়শা খান এমপি এবং ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মুছা মাতব্বরের পরিচালনায় সম্মেলনে সহ-সভাপতি চিংকিউ রোয়াজা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হাবিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুদ্দোহা চৌধুরী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মনোয়ারা জাহান আক্তার, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান, রাজস্থলী উপজেলা চেয়ারম্যান উবাচ মারমাসহ উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতারা বক্তব্য দেন।