Logo
Logo
×

সারাদেশ

বাঁশখালীর হতভাগ্য হাসান ২৭ বছর পর ফিরে স্ত্রী-সন্তানের হাতে খুন

Icon

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:১৬ পিএম

বাঁশখালীর হতভাগ্য হাসান ২৭ বছর পর ফিরে স্ত্রী-সন্তানের হাতে খুন

বাঁশখালী উপজেলার মোহাম্মদ হাসান ২৭ বছর পর ফিরে স্ত্রী-সন্তানের হাতে খুন হয়েছেন। শুক্রবার পরিচয়হীন আট টুকরো লাশ উদ্ধারের পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তার নৃশংস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে। ১৯৯৬ সালের পর থেকে পরিবারের সঙ্গে হাসানের কোনো যোগাযোগ ছিল না।

পিবিআইয়ের চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের এএসপি একেএম মহিউদ্দিন সেলিম যুগান্তরকে বলেন, হাসান কেন নিরুদ্দেশ হয়েছিলেন তা জানার চেষ্টা করছি। প্রাথমিকভাবে জানা গেছেÑসন্তানদের নামে জমিজমা লিখে না দেওয়ায় পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। ২৭ বছর হাসান কোথায় ছিলেন তা জানা না গেলেও তার জাতীয় পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে তার ঠিকানা সিলেট এবং স্থায়ী ঠিকানা বাঁশখালী লেখা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, হাসানের স্ত্রী ছেনোয়ারা বেগম ও বড় ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে ছোট ছেলে সফিকুর রহমান জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রী আনারকলি পলাতক।

পিবিআইয়ের চট্টগ্রাম অঞ্চলের এসপি নাইমা সুলতানা জানান, কয়েক সপ্তাহ আগে পরিবারের কাছে ফিরে এসেছিলেন ২৭ বছর আগে নিরুদ্দেশ হওয়া হাসান। অথচ আপনজনদের হাতে তার প্রাণ গেল। এ ঘটনায় আমরা দু’জনকে গ্রেফতার করেছি। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

পতেঙ্গা থানার বোট ক্লাবের অদূরে ১২ নম্বর গেট এলাকার ডোবা থেকে শুক্রবার পুলিশ মানবদেহের আট টুকরো লাশ উদ্ধার করে। লাশের মাথা ও শরীরের কিছু অংশ পাওয়া যায়নি। ট্রলিব্যাগে দুই হাত, দুই পা, কনুই থেকে কাঁধ এবং হাঁটু থেকে উরুর কিছু অংশ ছিল। পতেঙ্গা থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা হওয়ায় পিবিআই ছায়া তদন্ত শুরু করে। তথ্যপ্রযুক্তি, আঙুলের ছাপ ও নিজস্ব সোর্স ব্যবহার করা হয়। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে পিবিআই জানতে পারে-ওই রাতে ইপিজেড থানার আকমল আলী রোডের একটি বাসায় হাসান অবস্থান করে। সেখানে তার স্ত্রী ও বড় ছেলেও ছিল। ভিডিও ফুটেজে পিবিআই দেখতে পায়Ñওই বাসার পকেট গেট দিয়ে ট্রলিব্যাগ ভর্তি কিছু বের করা হচ্ছে। আরেকটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়-এক যুবক হাসানের স্ত্রীকে ধরে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলছে। এ সময় ছোট ছেলের স্ত্রীকেও অটোরিকশায় উঠতে দেখা যায়।

পিবিআই সূত্র  জানায়, হত্যাকাণ্ডের ১০ দিন আগে চিকিৎসার নামে হাসানের স্ত্রী চট্টগ্রাম শহরে ছোট ছেলের বাসায় আসেন। ঘটনার দিন বড় ছেলে মোস্তাফিজুরও আসে। রাতে হাসানের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে স্ত্রী, দুই ছেলে ও ছোট ছেলের স্ত্রী মিলে তাকে খুন করে। এরপর ঠাণ্ডা মাথায় লাশ টুকরো টুকরো করে ট্রলিব্যাগ ও বস্তায় ভরে পানাভর্তি ডোবায় ফেলে দেওয়া হয়। ছোট ছেলে টুকরোগুলো বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেয়।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম