ইতালি পাঠানোর নামে ২৬ লাখ টাকা আদায়
জগন্নাথপুরের যুবককে লিবিয়ায় নিয়ে নির্যাতন
সিলেট ব্যুরো
প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৫৭ পিএম
প্রতীকী ছবি
ইতালি পাঠানোর নামে সিলেটের জগন্নাথপুরের যুবক রুবেল মিয়াকে লিবিয়ায় নিয়ে আটকে রেখে নির্যাতন ও বড় অঙ্কের টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে দালালদের বিরুদ্ধে। রুবেল মিয়ার ছোট ভাই উপজেলার গলাখাল গ্রামের মৃত সিকান্দর মিয়ার ছেলে সাহেল আহমদ সিলেট প্রেস ক্লাবে শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাহেল আহমদ বলেন, আমার বড় ভাই রুবেল মিয়াকে ইতালি পাঠাতে শান্তিগঞ্জ উপজেলার দরগাপাশা ইউনিয়নের আসামপুর গ্রামের মৃত আশিক মিয়ার ছেলে এনাম তালুকদার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হই। ৭ লাখ টাকায় আমার ভাইকে ইতালি পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু এনাম আমার ভাইকে সরাসরি ইতালি না পাঠিয়ে প্রথমে দুবাই, পরে লিবিয়ায় নিয়ে তাদের ক্যাম্পে রাখেন। ভাইয়ের কাছ থেকে এ কথা শুনে এনামের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, দুবাই ও লিবিয়া হয়ে তাকে ইতালি পাঠানো হবে। কিন্তু তাকে আটকে রেখে কয়েক দফা নির্যাতনের ছবি পাঠিয়ে আমাদের কাছ থেকে একে একে ২৬ লাখ টাকা আদায় করা হয়। অথচ আমার ভাইকে এখনো লিবিয়ায় আটকে রাখা হয়েছে। নির্যাতনের অনেক ছবি ও ভিডিও আমাদের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। এসব ঘটনার সঙ্গে এনামের চাচা শান্তিগঞ্জ উপজেলার আসামপুর গ্রামের ফয়জুর রহমানের ছেলে আশরাফ মিয়া ও এনামের স্ত্রী সাবিনা বেগম জড়িত রয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন সাহেল।
টাকা নিয়ে ইতালি না পাঠিয়ে এখন উলটো নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন এনাম-এমন অভিযোগ করে রুবেল মিয়ার ছোট ভাই বলেন, লিবিয়ায় অবস্থানরত এনাম আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের আইনের আশ্রয় নিলে প্রাণে মারার হুমকি দিচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের ছবি এডিট করে কুৎসা রটিয়ে আমাদের সামাজিকভাবে হেয় করছেন।
এ ব্যাপারে এনামের আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা এ বিষয়ে কিছু করতে পারবেন না জানিয়ে আমাদের আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেন।
মানব পাচার চক্রের হোতা এনাম তালুকদারের কাছে এলাকার বহু মানুষ প্রতারিত হয়েছেন জানিয়ে সাহেল এ বিষয়ে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সব মহলের সহযোগিতা কামনা করেন। এনামসহ সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণও করেন তিনি।