বিনা ছুটিতে বেলজিয়ামে ইউপি চেয়ারম্যান
যুগান্তর প্রতিবেদন, মানিকগঞ্জ
প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৩৪ পিএম
সদর উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে বিনা ছুটিতে বেলজিয়াম যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে করে ইউনিয়নবাসী সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। প্রতিদিন তারা পরিষদে এসে ঘুরে যাচ্ছেন।
ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য প্যানেল চেয়ারম্যান মো. শেখ পান্নু মিয়ার সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, পরিষদের কাউকে না জানিয়ে কোথায় যে গেছেন কেউ বলতে পারছেন না। ফোনটিও বন্ধ। তিনি পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হলেও তাকে পরিষদের দায়িত্ব না বুঝিয়ে দেওয়ায় সাধারণ মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। ট্রেড লাইসেন্স, ওয়ারিশিয়ান, জন্মমৃত্যু সনদ, বিভিন্ন সনদে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর প্রয়োজন।
চেয়ারম্যান না থাকায় বিষয়ে একই কথা জানালেন ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মিজানুর রহমান।
তিনি জানান, বেলজিয়ামের নাগরিক চেয়ারম্যান। মাঝে-মধ্যেই বিনা অনুমতি নিয়ে সেখানে চলে যান। তারা অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি।
নিয়ম অনুযায়ী কোনো জনপ্রতিনিধি (ইউপি চেয়ারম্যান) যেকোনো প্রয়োজনে বিদেশ গেলে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ছুটি নিতে হবে তাকে। এক্ষেত্রে আব্দুল জলিল সে বিধি-বিধান উপেক্ষা করে বেলজিয়াম চলে যান।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ একটি ইউনিয়ন ভাড়ারিয়া। নানা কাজ ও বিভিন্ন প্রয়োজনেই স্থানীয়দের চেয়ারম্যানের কাছে আসতে হয়।
স্থানীয়রা জানান, এক সপ্তাহ ধরে তারা চেয়ারম্যানকে ইউনিয়ন পরিষদে পাচ্ছেন না। পরিষদের সচিবও বলতে পারছেন না চেয়ারম্যান কোথায়। এতে, তাদের প্রয়োজনীয় কাজে বিঘ্ন ঘটছে। অনেকেই আবার সেবা না পেয়ে ফিরেও যাচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতিশ্বর পালের সঙ্গে কথা হলে তিনি যুগান্তরকে বলেন, জলিল চেয়ারম্যান বেলজিয়াম গেছেন কিনা এ তথ্যটি আমার কাছে নেই তবে তিনি যে বেশ কিছুদিন ধরে স্টেশনে নেই এ তথ্যটি আমার জানা আছে।
তিনি আরও জানান, ওই ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের এ ব্যাপারে লিখিতভাবে জানানোর কথা বলেছেন। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন বলে জানান।
এরআগেও তিনি এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছিলেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছিল। তিনি আরও জানান, তিনি এর আগেও আকস্মিকভাবে গায়েব হয়ে গিয়েছিলেন।
সরকারি নিয়ম ভেঙে কোনো চেয়ারম্যান দেশের বাইরে যেতে পারেন কিনা এ ব্যাপারে জানতে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক শাহিনা পারভীনের সঙ্গে কথা বলতে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ ও খুদে বার্তা পাঠিয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।