বিদ্রোহ দমনের নামে ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমান ১ হাজার ১৫৬ জনকে ষড়যন্ত্রের নামে হত্যা করে। জিয়ার মরণোত্তর বিচার ও সংসদ ভবন এলাকা থেকে তার কবর অপসারণের দাবি জানিয়েছেন হত্যাকাণ্ডের শিকার বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও সেনাবাহিনীর পরিবারের সদস্যরা।
বুধবার রংপুর টাউন হল মাঠে মায়ের কান্না নামের এক সংগঠন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ১৯৭৭ সালে ফাঁসিতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা সার্জেন্ট সাইদুর রহমানের ছেলে মো. কামরুজ্জামান লেলিন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর ঢাকায় জাপানি বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনায় তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পরিকল্পিতভাবে একটি অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট তৈরি করেন। পরবর্তীতে তথাকথিত বিদ্রোহ দমনের নামে জিয়াউর রহমান একদিনের সামরিক আদালতে বিচার করে সেই রাতেই ফাঁসি সম্পন্ন করতেন নিরপরাধ সামরিক সদস্যদের। রাতের আঁধারে কারফিউ দিয়ে ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, রংপুর, যশোর ও বগুড়া কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি কার্যকর করা হতো।
রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আমলে গুম হওয়া ব্যক্তিদের কোথায় সমাহিত করা হয়েছে এবং সেই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে মায়ের কান্না সংগঠনের পক্ষ থেকে সাত দফা দাবি জানানো হয়।
সামরিক আদালতে ফাঁসির ঘটনায় বিমান বাহিনীর নিহত সদস্যদের নির্দোষ ঘোষণা, তাদের সঠিক তালিকা প্রকাশ এবং জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার দাবি করা হয়।
একই দাবিতে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর রংপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে মায়ের কান্না সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি আলোচনা সভা এবং প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।