চাকরি দেওয়ার নামে নারীকে ধর্ষণ, সাবেক ইউপি সদস্যের যাবজ্জীবন
নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:৪০ পিএম
নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য সাইফুল ইসলামকে যাবজ্জীবন ও ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে রায়ে ৩০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। জরিমানার ৩০ হাজার টাকা ভুক্তভোগীকে দিতে এবং আসামির দুটি সাজা আলাদাভাবে খাটতে হবে বলেও আদালত নির্দেশনা দিয়েছেন।
সোমবার নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন।
গৃহবধূকে চাকরি দেওয়ার নামে হোটেলে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২০ বছর পর মামলার পৃথক দুটি ধারায় আলাদাভাবে এ রায় দেওয়া হয়।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ সালের ১৮ অক্টোবর সাইফুল ইসলাম তার নিজ এলাকার স্বামী পরিত্যক্তা এক নারীকে গার্মেন্টসে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে ঢাকায় নিয়ে যান। সেখানে তারা একটি আবাসিক হোটেলে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে রাতযাপন করেন। একপর্যায়ে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করেন ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম। পরে চাকরি খোঁজার নাম করে সেখান থেকে পালিয়ে যান সাইফুল।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাড়িতে ফিরে ২০০৩ সালের ২০ অক্টোবর বাদী হয়ে সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি ধারায় মামলা দায়ের করেন। এর ২০ বছর পর আদালত ধর্ষণ মামলার একটি ধারায় সাইফুলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। পাশাপাশি নারী ও শিশু নির্যাতনের একটি ধারায় তাকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। আসামি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
আদালতের পিপি আনিসুর রহমান বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত সাইফুল ইসলামের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড শেষ হওয়ার পর ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড শুরু হবে বলে বিচারক আদেশ দিয়েছেন।