Logo
Logo
×

সারাদেশ

বাবার চাকরি ফেরত পেতে প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতিবন্ধী মেয়ে

Icon

ময়মনসিংহ ব্যুরো

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:১১ পিএম

বাবার চাকরি ফেরত পেতে প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতিবন্ধী মেয়ে

বাবার চাকরি ফেরত চান প্রতিবন্ধী শারমিন হক। এই দাবিতে তিনি ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে রোববার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অবস্থান করেন। প্ল্যাকার্ডে লিখা ছিল, ‘বাবার চাকরি ফিরিয়ে দিন, ভয় আতঙ্ক আমাদের গ্রাস করছে।’ মেয়েটির এই আকুতি নগরবাসীর নজর কাড়ে। তাকে একনজর দেখতে অনেকেই প্রেস ক্লাবের সামনে ভিড় করেন।

বোনের জামাইয়ের করা মামলায় এক বছর ধরে সাময়িক বরখাস্ত আছেন ময়মনসিংহের তারাকান্দা সোনালী ব্যাংক শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার মাইনুল হক। তার বাসা নগরীর কালীবাড়ি রোডে।

মাইনুল হকের মেয়ে শারমিন হক বলেন, ‘এক বছর ধরে বাবা-মা মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছেন। তা দেখে নিজেও মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে যাচ্ছি। হাসিখুশির সংসারটা ফুপার করা মিথ্যা মামলায় এলোমেলো হয়ে গেছে। আমার দাবি সরকারসহ সোনালি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে বাবার চাকরিটি ফিরিয়ে দেবে। আমি আমার বাবা-মাকে সুখি দেখতে চাই।’

শারমিন হকের মা নাসরিন হক নূপুর বলেন, ‘পৈতৃক সম্পত্তি ভাগবাটোয়ারা হলে আমার স্বামী ৬টি ফ্ল্যাট পান। ডেভেলপার কানন প্রপার্টিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিবলাল শিল শিবু ১০তলা ভবনে ফ্ল্যাটের কাজ অসম্পূর্ণ রেখে গা ঢাকা দেন। পরে নিরুপায় হয়ে আমাদের ভাগের তিনটি ফ্ল্যাট অন্যত্র বিক্রি করে বাকি তিনটির ডেকোরেশন কাজ সম্পন্ন করি। আমাদের ফ্ল্যাটের কাজ আগে সম্পন্ন করেছি। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে বিরোধ বাঁধে। পরে আমার স্বামীর বড় বোনজামাই আবু ছিদ্দিক খান তাকে (স্বামী) মারধরসহ ফৌজদারি মামলা করেন। এ কারণে আমার স্বামীকে সাময়িক বরখাস্ত করে কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে তারা বিভিন্নভাবে হুমকিসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা অপপ্রচার অব্যাহত রাখে।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া মাইনুল হক বলেন, ২৪ বছর ধরে সততার সহিত চাকরি করে আসছি। কোনোদিন কাজেও ফাঁকি দেইনি। কিন্তু আমার বড় বোন ও তার স্বামী এবং তাদের সন্তানরা বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তিকে কেন্দ্র করে আমাকে চাকরিচ্যুত করতে নানাভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে। ২০২২ সালের ২৩ মে মিথ্যা মামলা দিয়ে আবু ছিদ্দিক খান হেড অফিসে প্রতিনিয়ত যোগাযোগের মাধ্যমে আমাকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্তে বাধ্য করেন। এখন নিজের বাসা ছেড়ে প্রতিবন্ধী মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে অন্যত্র বাসা ভাড়া করে থাকছি।

জানতে চাইলে মামলার বাদী আবু ছিদ্দিক খান বলেন, আমি অগ্রণী ব্যাংকের এজিএম ছিলাম। সেই সুবাদে পরিবার নিয়ে ঢাকায় বসবাস করছি। কিন্তু শ্বশুরের রেখে যাওয়া জমিতে ভবন নির্মাণ করে মাইনুল হক ও তার স্ত্রী আমাদের ঠকিয়ে অর্থ আÍসাৎ করেছে। যে কারণে নিজের প্রাপ্য হিস্যা ফিরে পেতে মামলা করেছি। অপরাধ করলে তো চাকরি যাবে সেটাই স্বাভাবিক। এখন তারা তাদের প্রতিবন্ধী মেয়েকে সামনে রেখে সহানুভূতি নেওয়ার চেষ্টা করছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম