স্ত্রীর সন্দেহ দূর করতে স্কুলশিক্ষকের কাণ্ড
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৫৪ পিএম
স্ত্রী অসুস্থ ও সন্দেহপ্রবণ। স্কুলে নারী সহকর্মীর (শিক্ষক) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থাকা নিয়ে স্বামী আনোয়ার হোসেনকে (৫৬) সন্দেহ করে আসছিলেন স্ত্রী। তাই তাকে বোঝাতে বিয়ে না করেই সহকর্মীকে তালাক দেওয়ার ঘটনায় আনোয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এদিকে তার বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা করেছেন নারী সহকর্মী। এ ঘটনায় আনোয়ারকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
সদর উপজেলার রিচি উচ্চ বিদ্যালয়ের ধর্মশিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক আনোয়ার হোসেন। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রিচি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিবাহ ছাড়াই একজন শিক্ষক তার নারী সহকর্মীকে তালাক দেওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক। একজন মৌলভী শিক্ষকের কাছ থেকে ছাত্রছাত্রীরা সুপথে চলার শিক্ষা পাবে; কিন্তু তিনি নিজেই একটি নিন্দনীয় কাজ করেছেন। বিধিমোতাবেক শিক্ষক আনোয়ার হোসেনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
সদর মডেল থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেব জানান, আদালতের আদেশে মামলাটি এফআইআর করা হয়েছে। শুক্রবার আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মৌলভী আনোয়ার হোসেন বিবাহিত ও দুই সন্তানের জনক। আনোয়ারের নারী সহকর্মী বিধবা। পাঁচ মাস আগে আনোয়ার হোসেন নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে এফিডেভিট করে নারী সহকর্মীকে তালাক দেন। অথচ তাদের মধ্যে কোনো বৈবাহিক সম্পর্ক হয়নি। আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী এফিডেভিটের কপি ভুক্তভোগীর নারীর কাছে দিয়ে তার স্বামীকে হয়রানি না করতে সাবধান করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ম্যানেজিং কমিটি আনোয়ার হোসেনকে শোকজ করে।
আনোয়ার হোসেন জানান, তার স্ত্রী মানসিকভাবে অসুস্থ ও সন্দেহপ্রবণ। স্ত্রীকে বোঝাতেই তিনি এফিডেভিটের কপি এনে দিয়েছিলেন।
জবাবে সন্তুষ্ট না হয়ে সম্প্রতি স্কুল ম্যানিজিং কমিটি তাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে।
এদিকে প্রতারণার শিকার ওই নারী সোমবার হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেনের আদালতে আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। বিচারক মামলাটি রুজু করতে সদর থানার ওসিকে আদেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ শুক্রবার আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়।