অপহরণের পর শিশুকে হত্যা, বাড়ির আঙিনায় রেখে গেল লাশ
দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৫৬ পিএম
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে চার বছরের শিশুকে অপহরণ করে হত্যার ২ দিন পর বাড়ির আঙিনায় লাশ রেখে যায় ঘাতকরা। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার মডেল থানায় এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে।
জানা যায়, ৪ বছরের শিশুকন্যা নুসরাত হাবিবা শুক্রবার বাবার সঙ্গে বাজারে যায়। বাবা বাজার থেকে শিশুটিকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। সন্ধ্যায় শিশুটির পিতা বাড়ি ফিরে দেখেন শিশুটি বাড়ি আসেনি। পরদিন তার পিতা শিশু হারানোর বিষয়ে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন এবং এলাকায় শিশুটির সন্ধানের জন্য মাইকিং করেন।
২ দিন পর সোমবার রাতের কোনো এক সময় মোশারফের বাড়ির আঙিনায় শিশুটির লাশ রেখে যায় ঘাতকরা। মঙ্গলবার সকালে বাড়ির লোকজন শিশু নুসরাতের লাশ দেখতে পায়। দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ সংবাদ পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর মর্গে পাঠান।
শিশুটির স্বজনরা জানান, শিশুটি নিখোঁজের পর এলাকায় মাইকিং করেন শিশুটির পিতা। মাইকিং শুনে সবুজ নামে এক যুবক বাঘারচরের রুবেল নামের এক ট্রলিচালক বলেছিল টাকা দিলে শিশুটি পাওয়া যাবে, এই দুইজনের মোবাইল ফোনের কথোপকথন রেকর্ড রয়েছে। ঘটনার পর থেকেই সবুজ পলাতক রয়েছেন।
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ওসি বিপ্লব বিশ্বাস যুগান্তরকে জানান, মঙ্গলবার শিশুটির পিতা আশরাফুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। ট্রলিচালক রুবেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাকে আদালতে রিমান্ড চাওয়া হবে। শিশুটির নাক, মুখ, চোখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে মাথা চেপে ধরে কিলঘুসি দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। সবুজকে ধরার জোর চেষ্টা অব্যাহত আছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন কান্তি চৌধুরী যুগান্তরকে জানান, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে সব জানা যাবে।