স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে ৭ দিনের নবজাতক নিয়ে অনশনে নারী
রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৪৫ পিএম
স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে এক নারী ৭ দিনের নবজাতক নিয়ে এক যুবকের বাড়িতে অনশন শুরু করেছেন। তার দাবি, প্রেমের সম্পর্কের কারণে অভিযুক্ত যুবক ঢাকায় গিয়ে তাকে বিয়ে করেন। দেড় বছর ঢাকায় তারা সংসারও করেছেন। এখন বিয়ের কথা অস্বীকার করছেন অভিযুক্ত যুবক।
ওই যুবকের নাম মো. সফিউল্লাহ। গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নের উজানপাড়া গ্রামে তার বাড়ি। বাবার নাম মৃত মজিবুর রহমান। ওই নারীর বাড়ি পাশের গ্রামে।
রোববার দুপুর থেকে ওই নারী সফিউল্লাহর বাড়িতে গিয়ে অনশন করছেন। তখন সফিউল্লাহ বাড়িতে থাকলেও পরে আত্মগোপনে চলে যান।
ভুক্তভোগী নারীর দাবি, তার সঙ্গে ওই যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এজন্য তিনি তার সঙ্গে ঢাকায় যান। সেখানে ধর্মীয় রীতিতে তারা বিয়ে করেন। তবে বিয়ের নিবন্ধন করা হয়নি। ঢাকার হেমায়েতপুর এলাকায় সফিউল্লাহ তেল, গুঁড়া হলুদ-মরিচসহ বিভিন্ন জিনিসের ব্যবসা করেন। তারা সেখানে একসঙ্গেই থাকতেন। গত ৪ সেপ্টেম্বর সফিউল্লাহর বাবা মারা গেলে তিনি গ্রামে আসেন। পরদিন ওই নারী একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন।
ওই নারী জানান, সফিউল্লাহ বাড়ি আসার পর আর ফিরে না যাওয়ায় তিনিই ঢাকা থেকে চলে আসেন। রোববার তিনি কন্যাসন্তানসহ স্বামীর বাড়িতে আসেন। তখন সফিউল্লাহ তাকে স্বীকার করেননি। পরে তিনি ৯৯৯-এর মাধ্যমে পুলিশে খবর দেন। এর মধ্যেই সফিউল্লাহ সটকে পড়েন। সাত দিনের নবজাতক শিশু নিয়ে সোমবার বিকাল পর্যন্ত ওই নারী সফিউল্লাহর বাড়ির সামনেই ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে পরিবারের সদস্যরা গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে চাননি।
মাটিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল রানা বলেন, ওই নারী আসার পরই খবর পেয়ে সেখানে গিয়েছিলাম। পুলিশও এসেছিল কিন্তু ওই নারী বিয়ের কাগজ দেখাতে পারছেন না। আবার সফিউল্লাহও ধর্মীয় রীতিতে বিয়ের কথা স্বীকার করছেন না। ফলে একটা জটিলতা দেখা দিয়েছে। কিভাবে এর সমাধান করা যায় সেটি আমরা দেখছি।
কথা বলতে গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলামের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তিনি ফোন না ধরার কারণে তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।