সীতাকুণ্ডে বৈদ্যুতিক শকে গুরুতর আহত বানরটি অবশেষে মারা গেছে। গত শনিবার আহত হওয়ার পর তিনদিন সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) বহির্বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বানরটির মৃত্যু হয়েছে বলে চট্টগ্রাম জেলা বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তা দীপান্বিতা ভট্টাচার্য নিশ্চিত করেছেন।
রাতে তিনি যুগান্তরকে বলেন, ‘বানরটিকে গত সোমবার থেকে প্রতিদিন সিভাসুতে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। তবে বৃহস্পতিবার বিকালের পর থেকে বানরটি খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেয়। আগে যা খেয়েছিল, তাও বমি করে দিয়েছিল। শুক্রবার দুপুরে বানরটি মারা যাওয়ার পর আমাদের ক্যাম্পাসে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।’
শনিবার বৈদ্যুতিক শকে বানরটির শরীরের পেছনের অংশে গভীর ক্ষত হয়ে যায়। বানরটি সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন বাগানে থাকত। খাবারের খোঁজে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলে যাওয়ার পর প্রাণীটির শরীরের ক্ষত চিকিৎসকদের নজরে আসে। ওইদিনই তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরদিন রোববারও বানরটি যথারীতি হাসপাতালে হাজির হলে ড্রেসিং করে দেওয়া হয়।
সোমবার সকাল ৯টার দিকে তৃতীয়দিনের মতো সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর সন্ধ্যায় সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা তাহমিনা আরজু বানরটিকে সিভাসুতে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।