Logo
Logo
×

সারাদেশ

প্রেমিক যুগলকে দড়ি দিয়ে বেঁধে নির্যাতন, থানায় ধর্ষণের অভিযোগ

Icon

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:৫৭ এএম

প্রেমিক যুগলকে দড়ি দিয়ে বেঁধে নির্যাতন, থানায় ধর্ষণের অভিযোগ

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় প্রেমের টানে ছেলের বাড়িতে ওঠেন মেয়ে। এ ঘটনায় প্রেমিক যুগলকে সুপারি গাছে দড়ি দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে তরুণীর ভাই ও গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে। 

ইতোমধ্যে গাছে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলাজুড়ে চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। তবে জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি পুলিশ। উল্টো ধর্ষণের মামলায় ওই যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার সিংগীমারী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে সাবেক ইউপি সদস্য রাহেলার বাড়ির সামনে তাদেরকে সুপারি গাছে বেঁধে রাখা হয়।

নির্যাতনের শিকার তপন (২২) উপজেলার সিংগীমারী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সুভাষ চন্দ্রের ছেলে। মেয়েটি (১৮) একই এলাকার বলে জানা গেছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘ দিন ধরে তপন ও মেয়েটির প্রেমের পর শুরু হয় শারীরিক সম্পর্ক। এমতাবস্থায় বুধবার রাতে তপনের বাড়িতে আসেন মেয়েটি। বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি বুঝতে পেরে এলাকাবাসী তাদের আটক করে সিংগীমারী ইউপির সাবেক মহিলা সদস্য রাহেলা বেগমের বাড়ির সামনের সুপারি গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা তপনের বিরুদ্ধে থানায় একটি ধর্ষণের মামলা করেন। সেই মামলায় তপনকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। ওই তরুণীর ধর্ষণের আলামত সংগ্রহের জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত তপন বলেন, তাদের সঙ্গে আমাদের মামলা-মোকদ্দমা চলে আসছে পরিকল্পিতভাবে আমাকে ঘর থেকে বের করে এনে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করেছেন। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়েটির বাবা মোবাইল ফোনে ‘আমি ব্যস্ত আছি পরে কথা হবে’ বলে সংযোগটি কেটে দেন। 

এ বিষয়ে সিংঙ্গীমারী ইউপির সাবেক মহিলা সদস্য রাহেলা বেগম বলেন, আমরা তাদের বেঁধে রাখিনি। মেয়েটির ভাই তাদেরকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। সে সময় কেরামত চৌকিদার উপস্থিত ছিল। পরে পুলিশ এসে তাদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে সিংগীমারী ইউপি চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন দুলু বলেন, বিষয়টি জানার পর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেছে।

হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, মেয়ের বাবা ধর্ষণের অভিযোগ দেওয়ায় অভিযুক্ত তপনকে আটক করা হয়েছে। ওই তরুণীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, তরুণ-তরুণীকে নির্যাতনের বিষয়টি আমার জানা নেই।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম