বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, ‘কোনো ষড়যন্ত্র করেই আওয়ামী লীগ আর ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে না। এবার তাদের প্রয়োজনে টেনেহিঁচড়ে ক্ষমতা থেকে নামানো হবে।’

তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শেখ হাসিনার অধীনে দেশে আর কোনো সংসদ নির্বাচন হবে না। শেখ হাসিনার অধীনে সংসদ নির্বাচনে বিএনপিসহ কোনো বিরোধী দল অংশ নেবে না। খুলনার মানুষ প্রমাণ করেছেন শেখ হাসিনার পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে।’ 

শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি আয়োজিত র্যালির আগে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আজ বিনাভোটের সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন দেশের ১৮ কোটি মানুষ। গণমানুষের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জাতিসংঘসহ পৃথিবীর প্রতিটি গণতান্ত্রিক দেশ। পৃথিবীর মোড়ল রাষ্ট্রগুলো বলেছে বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই, মানুষের ভোটাধিকার নেই। ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে বিগত এক বছরে স্বৈরাচার সরকার ১৯ জন নেতাকর্মীকে খুন করেছে। জেল-জুলুম, খুন-গুম করে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।’

প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল। মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে এবং মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন ও জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পির পরিচালনায় র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, আবু হোসেন বাবু, খান জুলফিকার আলী, স ম আ. রহমান, সাইফুর রহমান, সৈয়দা রেহেনা ইসা, এসএ রহমান, অ্যাডভোকেট নুরুল হাসান রুবা, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, মাহমুদ আলী, মো. রকিব মল্লিক, মোস্তফাউল বারী, শের আলম সান্টু, মোল্লা মোশাররফ রহমান, আবুল কালাম জিয়া, অধ্যাপক মনিরুল হক, বদরুল আনাম খান, শেখ তৈয়বুর রহমান, মাহাবুব হাসান পিয়ারু, শামীম কবীর, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, আশরাফুল আলম খান, একরামুল হক হেলাল, শামসুল আলম, মাসুদ পারভেজ বাবু, মেজবাউল আলম, শেখ সাদি ও এনামুল হক, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ প্রমুখ।