Logo
Logo
×

সারাদেশ

এনজিও কর্মীকে হত্যার পর মাটিচাপা

Icon

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২৩, ০৯:০৬ পিএম

এনজিও কর্মীকে হত্যার পর মাটিচাপা

লক্ষ্মীপুরে কিস্তির টাকা চাইতে গেলে মো. ইউনুছ (৫০) নামে এক এনজিও কর্মীকে হত্যার পর লাশ মাটিতে পুঁতে রাখা হয়। এর সঙ্গে জড়িত জাবেদ হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ৬ দিন পর বৃহস্পতিবার সকালে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের দক্ষিণ মজুপুরের কালু হাজি সড়ক এলাকা থেকে মাটিচাপা অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. হাসান মোস্তফা স্বপন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সোহেল রানা ও সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

মৃত ইউনুস লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড আবদুল গনি হেডমাস্টার সড়কের আবদুর রশিদ মোল্লার ছেলে। তিনি একটি এনজিওর মাঠকর্মী হিসেবে কাজ করতেন।

গ্রেফতার জাবেদ কালু হাজি সড়কের সফিকুর রহমানের ছেলে ও চা দোকানি। তবে তিনি পেশায় নির্মাণ শ্রমিক হিসেবেও কাজ করেন।

পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্র জানায়, জাবেদ সম্প্রতি ইউনুছের এনজিও থেকে ২০ হাজার টাকা ঋণ নেয়। এতে প্রতিদিন ২৫০ টাকা করে জমা দিতে হয়। কিন্তু তিনি কিস্তির টাকা দিচ্ছিলেন না। ২৪ আগস্ট বিকালে মোটরসাইকেলযোগে ইউনুস বাসা থেকে বের হন। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেনি। এতে স্বামীর খোঁজে ২৫ আগস্ট স্ত্রী সুলতানা জামান সদর মডেল থানায় একটি জিডি করেন। এতে পুলিশ তদন্তের পর অভিযান চালিয়ে বুধবার রাতে জাবেদকে তার এলাকা থেকে আটক করে। পরে তিনি পুলিশের কাছে ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

জাবেদ পুলিশকে জানান, ২৪ আগস্ট রাতে ইউনুছ দোকানে তার কাছে কিস্তির টাকার জন্য যান; কিন্তু তিনি টাকা দিচ্ছিলেন না। এতে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে লাঠি দিয়ে ইউনুসের মাথায় আঘাত করেন তিনি। এতেই ইউনুছ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে তিনি নিজেই দোকানের পেছনে নিয়ে ইউনুছের লাশ মাটিতে পুঁতে রাখেন। পরে ইউনুছের ব্যবহৃত মোবাইল ও মোটরসাইকেলটি পাশের পুকুরে ফেলে দেন তিনি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. হাসান মোস্তফা স্বপন বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত জাবেদকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। মাটিতে পুঁতে রাখা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুকুর থেকে ইউনুছের মোটরসাইকেলটিও উদ্ধার করা হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম