Logo
Logo
×

সারাদেশ

অনিয়মিতদের প্রশ্নপত্রে নিয়মিতদের পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ

Icon

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৩, ১০:৫৮ পিএম

অনিয়মিতদের প্রশ্নপত্রে নিয়মিতদের পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্রে নিয়মিতদের পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন ২২৬ জন আলিম শিক্ষার্থী। রোববার উপজেলার ধুমাইটারী সিদ্দিকীয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। 

শিক্ষার্থীরা জানান, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার আলিম পরীক্ষার একমাত্র কেন্দ্র ধুমাইটারী সিদ্দিকীয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা। সেখানে রোববার ইংরেজি প্রথমপত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং ২৩৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২২৬ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। পরীক্ষা চলে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। এতে অমিয়মিত ও নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের আলাদা প্রশ্নপত্র দেওয়ার কথা কিন্তু মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ভুলবশত অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্রে নিয়মিতদের পরীক্ষা নেন। 

এ ব্যাপারে আব্দুল আজিজ নামের এক পরীক্ষার্থী বলেন, আমরা যারা পরীক্ষার্থী তারা না হয় বিষয়টি বুঝতে পারেনি; কিন্তু যারা পরীক্ষার দায়িত্বে ছিলেন তারা তো ভুল প্রশ্নপত্রে আমাদের পরীক্ষা নিয়েছেন। এতে ফলাফল আসবে কিনা- এ নিয়েও চিন্তিত শিক্ষার্থীরা। 

ধুমাইটারী সিদ্দিকীয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব ও মাদ্রাসার অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) কে ওয়াই এম আব্দুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। 

কেন্দ্রের নিয়োজিত ট্যাগ অফিসার ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. জাফর আহমেদ লস্কর বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন কেউ বিষয়টি তাকে জানাননি। যদি ভুল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নিয়ে থাকে এ দায় তার নয়, এর দায়-দায়িত্ব কেন্দ্র সচিবের। 

ভুল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দেওয়ার পর থেকে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মমিন মণ্ডল বলেন, ভুল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়া ঠিক হয়নি। বোর্ড চাইলে এ প্রশ্নপত্রের আলোকে খাতা দেখার নির্দেশ দিতে পারে, তখন পরীক্ষার্থীদের ফলাফল আসবে।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ-নূর-এ আলম বলেন, অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্রে নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া উচিত হয়নি। এর পুরো দায় কেন্দ্র সচিবের ওপর বর্তায়। কেন্দ্র সচিবের সঙ্গে এখনো দেখা হয়নি। ওনাকে ডেকেছি, উনি আসলে বিস্তারিত জানতে পারব।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর কায়সার আহমেদ বলেন, বিষয়টি অনিয়ম। এর দায় কেন্দ্র সচিবের। ইউএনওকে আমি বলেছি পুরো বিষয় জেনে আমাকে বিস্তারিত জানাতে। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম