তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৩, ০৯:২৭ পিএম
উজানের পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টায় বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জেলার তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের বসতবাড়ি, ফসলি জমি, গ্রামের রাস্তাঘাট বন্যার পানিতে তলিয়ে যেতে শুরু করেছে।
শনিবার সকাল ৬টা থেকে হঠাৎ করে উজানের ঢলে ভয়াবহ বন্যার আতঙ্কে পড়েছে নদীপাড়ের বাসিন্দারা।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যা পূর্বাভাস ও সর্তকীকরণ সূত্র মতে, প্রবল বৃষ্টিতে ইতোমধ্যেই তিস্তার উজানে ভারতের তিস্তা, তোর্সা, রায়ডাক, সংকোশ, মহানন্দার পানি বেড়েছে। ভারতের দোমহনী পয়েন্টে তিস্তার পানি শুক্রবার বিকালে বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে ধেয়ে আসছে। ফলে উজানের সঙ্গে সংযুক্ত তিস্তা নদীতে ঢল নেমে এসেছে বাংলাদেশে।
উজানর ঢল অব্যাহত থাকায় তিস্তার বন্যায় নীলফামারী জেলার ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার চরাঞ্চলের গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন সহস্রাধিক বেশি পরিবার ও তলিয়ে গেছে মৌসুমি ফসল ধান ও শাকসবজি।
এদিকে তিস্তার চরগ্রামের মানুষজন নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ভারি বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে শুক্রবার ভোর ৬ টায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার (৫২দশমিক ১৫) তিন সেন্টিমিটার নিচে থাকলেও সকাল ৯টায় বিপৎসীমা বরাবর প্রবাহিত হতে থাকে।
দুপুর ১২টায় বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার, বিকাল ৩টায় বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ও সন্ধ্যা ৬টায় বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার (৫২.২৮) ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত ছিল।ফলে নীলফামারীর ডালিয়ায় অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রেখে ঢলের পানি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তিস্তা ব্যারাজ দিয়ে প্রতি মিনিটে ৪ লাখ কিউসেক পানি ভাটিতে প্রবাহিত হচ্ছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কোথাও কোনো সমস্যা হলে পানি উন্নয়ন বোর্ড সেখানে কাজ করছে।