তিস্তার পানি বিপৎসীমা পার, ৫ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি
কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৩, ০৮:৫১ পিএম
বৃষ্টিপাত আর পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কাউনিয়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বর্তমানে তিস্তা রেলসেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে পাঁচ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
চর এলাকার মানুষের তথ্য মতে, পানি বৃদ্ধি পেয়ে ঢুষমারা, তালুক শাহবাজ, পূর্ব নিজপাড়ার অংশ, গোপীডাঙ্গা, আরাজি হরিশ্বর, চর প্রাণনাথ, শনশনিয়া, চর হয়বতখাঁ, চর গনাই, আজমখাঁর চর গ্রামের পাঁচ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এ ছাড়াও আমন ধানের খেত ও বীজতলা পানিতে ডুবে গেছে। অর্ধশতাধিক পুকুর ও মাছের খামার ভেসে গেছে। তিন হাজার একর জমির ফসল পানিতে ডুবে গেছে। ফলে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চরাঞ্চলের কৃষকরা। পানি বৃদ্ধি পেলে আরও নতুন নতুন এলাকায় বন্যা দেখা দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে ডালিয়া ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। এ কারণে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের ঢুষমারার চর এলাকার কৃষক নজরুল ইসলাম জানান, বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের এলাকার ২০০ পরিবার পানিবন্দি ও আমন খেত, বীজতলা, মরিচখেত ও বিভিন্ন সবজির খেত তলিয়ে গেছে।
বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনছার আলী জানান, তার এলাকায় পাঁচটি গ্রামের নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে এবং নদী ভাঙন বৃদ্ধি পেয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আহসান হাবীব বলেন, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে চরাঞ্চলের গ্রামগুলোতে ঢুকেছে। কত সংখ্যক বাড়ি পানিতে ডুবে গেছে তার প্রকৃত সংখ্যা জানা যায়নি। তবে উপজেলা প্রশাসন ও আমরা ত্রাণ বিভাগ বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছি।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রবিউল ইসলাম বলেন, কাউনিয়ার তিস্তা রেলসেতু পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ভারি বৃষ্টিপাত ও উজানের পাহাড়ি ঢল না আসলে তিস্তার পানি আগামীকাল থেকে কমতে শুরু করবে।