পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) নির্মাণাধীন ১২ তলা ছাত্রাবাসে কাজ করার সময়ে দড়ি ছিঁড়ে নিচে পড়ে দুই নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
এ ঘটনায় আরও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল নির্মাণাধীন হলে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাগানপাড়া চর বাসুদেরপুর গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে তুহিন হোসেন (২৫) ও রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বিগ্রাম ঘন্টি গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে আসাদুল আলী (৩৫)। আহত ব্যক্তি চাঁপাইনবাবগঞ্জের চরঅনুপনগর পশ্চিমপাড়া গ্রামের নয়ন আলীর ছেলে রবিউল আওয়াল (৩০)। তারা সবাই পাবিপ্রবিতে এনএন হুদা কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের অধীনে শ্রমিকের কাজ করতেন।
এদিকে রশি ছিঁড়ে দুই শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনায় নির্মাণ প্রতিষ্ঠান এবং পাবিপ্রবির প্রকল্প পরিচালকের গাফিলতি ছিল বলে অনেকেই অভিযোগ করেছেন।
পাবিপ্রবির প্রক্টর ড. কামাল হোসেন যুগান্তরকে বলেন, শুক্রবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ১২ তলাবিশিষ্ট শেখ রাসেল হলের বাইরের অংশে শ্রমিকরা রশিতে ঝুলে প্লাস্টারের কাজ করছিলেন। এ সময় তিন শ্রমিক আকস্মিকভাবে রশি ছিঁড়ে নিচে পড়ে যান। তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে পথেই একজন মারা যান।
পাবনা সদর থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনা তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। পাবিপ্রবির প্রকল্প পরিচালকের গাফিলতি ছিল বলে অনেকেই অভিযোগ করেছেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন, যে ঘটনাটি ঘটেছে তা দু:খজনক। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক কনস্ট্রাকশনের কাজ চলছে। প্রকল্পে তাদের নিরাপত্তা বজায় রেখে কাজ করতে বলা আছে; কিন্তু তারপরও কিভাবে ঘটনাটি ঘটল বা কারো কোনো গাফিলতি ছিল কিনা; আমরা তদন্ত করে দেখব।