আটা-বার্লির মিশ্রণে মরিচের গুড়া রং কেমিক্যাল মিশিয়ে তৈরি করা হতো সস
গাজীপুর মহানগর ও গাছা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৩, ১০:৩৫ পিএম
গাজীপুর মহানগরের কুনিয়া তারগাছ এলাকায় ভেজাল টমেটো সস তৈরি কারখানায় পুলিশের অভিযানে বিপুল পরিমাণ ভেজাল সস, রাসায়নিক কেমিক্যাল ও ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাতে গাছা থানার ৩৭নং ওয়ার্ডের কুনিয়া তারগাছ এলাকার ইসলামিয়া সস তৈরির কারাখানায় এ অভিযান পরিচালনা করে গাছা থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জিএমপি গাছা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মোকসেদুর রহমান ভেজাল সস কারাখানায় অভিযান ও জড়িত ৬ জনকে গ্রেফতারের বিষয়টি যুগান্তরকে নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে শরীরের জন্য ক্ষতিকর বিপুল পরিমাণ ভেজাল সস, সস তৈরির রাসায়নিক দ্রব্য, অন্যান্য উপকরণ, পরিবহণের কাজে ব্যবহৃত একটি কাভার্ডভ্যান উদ্ধারসহ জড়িত ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- গাছা থানার ৩৭নং ওয়ার্ডের নুর মোহাম্মদের ছেলে সাহাবুল (৪৪), চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানার ষাটনং গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে জসিম, একই এলাকার ঠাকুর পাড়া গ্রামের ফজলুল সরকারের ছেলে মো. শান্ত, সেকুল ইসলামের ছেলে মো. রাহাত, হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানার তিমিরপুর গ্রামের হোসেন মিয়ার ছেলে মিশন মিয়া ও হবিগঞ্জ জেলার চুনারঘাট থানার গণেশপুর গ্রামের আবদুল আউয়ালের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম।
জানা যায়, টমেটো ও তেঁতুলের উপস্থিতি ছাড়াই শুধুমাত্র সাইট্রিক অ্যাসিড ও রাসায়নিক টেস্টিং এজেন্টসহ আটা, বার্লি, রং, মরিচ গুঁড়া দিয়ে সস তৈরি হচ্ছে। সস তৈরির জন্য আটা ও বার্লির মিশ্রণে মরিচের গুড়া, রং ও কেমিক্যাল মিশ্রণ করে চুলায় গরম করা হয়। পরম মিশ্রণটি বালতিতে ঢেলে ঠাণ্ডা হলে টমেটো এবং তেঁতুলের সুগন্ধের জন্য সাইট্রিক অ্যাসিড মিশ্রিত করা হয়। বালতি থেকে সাধারণ মগ ব্যবহার করে হাত দিয়ে লাল রংয়ের ৫ লিটার প্লাস্টিক জারে ঢেলে অস্বাস্থ্যকর উপায়ে প্যাকেজিং ও বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে সরবরাহ করা হয়। সরকারি কোনো দপ্তরের অনুমোদন নেই এবং তারা গোপনীয়ভাবে উক্ত ইসলামিয়া সস কারখানাটি দীর্ঘদিন পরিচালনা করে আসছে।
জিএমপি সহকারী পুলিশ কমিশনার মোকসেদুর রহমান জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।