শিশু আফরিন আক্তার, বয়স ৬ বছর। এত অল্প বয়সেই সে থ্যালাসেমিয়া নামক রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। শিশু আফরিন বাঁচতে চায়, রোগ থেকে চায় মুক্তি পেতে।
মাসহ পরিবার চায় শিশুর প্রাণ বাঁচাতে; কিন্তু ইতোমধ্যেই শিশু আফরিনের চিকিৎসা করাতে গিয়ে মা-বাবা নিঃস্ব হয়ে গেছেন। এখন অর্থ সংকট ও চিকিৎসার অভাবে ধুঁকে ধুঁকে মরছে থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত আফরিন।
আফরিন রংপুর নগরীর তাজহাট মেট্রো থানার আরাজী তামপাট এলাকার আনছার আলী ও রশিদা দম্পতির মেয়ে।
শিশুটির পরিবার জানায়, আফরিনের বয়স যখন ৮ মাস তখন তার শরীরে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। পরে চিকিৎসকের কাছে গেলে পরীক্ষা করলে মারাত্মক রোগ থ্যালাসেমিয়া ধরা পড়ে। তখনই মা-বাবাসহ পরিবারে যেন নেমে আসে অন্ধকার। কারণ দরিদ্র পরিবারটির পক্ষে শিশু আফরিনকে চিকিৎসা করা সম্ভব নয়। খরচও অনেক। এ রোগে আক্রান্তদের সুস্থ থাকার জন্য সারাজীবন নিয়মিত রক্ত দিতে হয়। এক ব্যাগ রক্ত পাওয়ার জন্য অনেক খাটুনি খাটতে হয়। রক্ত চাইতে গিয়ে অনেকেই বিরক্তবোধও করেন।
শিশুটির মা রশিদা বেগম জানান, আফরিন ছোট থেকেই এই রোগে আক্রান্ত। প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান সহকারী অধ্যাপক ডা. একেএম কামরুজ্জামানের নিকট চিকিৎসা গ্রহণ করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন হাসপাতালে তার চিকিৎসা করার পর ঢাকার থাইরয়েড কেয়ার হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করা হলে সেখানর চিকিৎসকরা তাকে আরও উন্নত চিকিৎসা গ্রহণ করতে বলেন। গরিব মানুষ কিভাবে উন্নত চিকিৎসা করাব।
তিনি বলেন, তার মেয়ে আফরিনের চিকিৎসা চালাতে গিয়ে তিনিসহ পুরো পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে ধারদেনা করে চিকিৎসা চালাচ্ছেন কিন্তু কোনো উন্নতি হচ্ছে না। থ্যালাসেমিয়া চিকিৎসার খরচও অনেক। চিকিৎসা করানোর মতো সামর্থ্য নেই। তাই শিশু আফরিনের জীবন বাঁচানোর জন্য আপনাদের সাহায্য প্রয়োজন। তিনি সরকারপ্রধানসহ জনপ্রতিনিধি ও বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
সাহায্য পাঠানোর জন্য- মোছা. রশিদা বেগম, হিসাব নং- ৫০০৬২০১০০৭৫৭৫, সোনালী ব্যাংক লি., মাহিগঞ্জ শাখা, রংপুর মহানগর।