আমরণ অনশনে ববি শিক্ষার্থী সেই ছাত্রলীগ কর্মী
বরিশাল ব্যুরো
প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২৩, ১১:১০ পিএম
গত ৫ আগস্ট গভীর রাতে হামলার শিকার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ কর্মী আয়াত উল্লাহ আমরণ অনশনে বসেছেন।
তার ওপর হামলায় জড়িতদের বিচার দাবিতে বুধবার বেলা ২টায় একাডেমিক ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে অবস্থান নেন তিনি। হামলাকারীদের বিচারের আওতায় না আনা পর্যন্ত তিনি অনশন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
আহত আয়াতউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের রক্তিম-বাকি গ্রুপের সদস্য। প্রতিপক্ষ শান্ত-নাভিদ-শরীফ গ্রুপের সদস্যরা ওই হামলা চালায় বলে দাবি তার। ববিতে ছাত্রলীগের কমিটি না থাকলেও কয়েকটি গ্রুপ বিদ্যমান।
আহত আয়াত উল্লাহ বলেন, দুর্বৃত্তদের হামলায় আমি পঙ্গু হতে চলেছি। ন্যক্কারজনক এ হামলার সঙ্গে জড়িতদের পরিচয় প্রকাশ হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের বিচারের আওতায় আনছে না। তাই বাধ্য হয়ে আমাকে অনশনে বসতে হলো।
ক্ষোভের সুরে আয়াত বলেন, আমার ওপর হামলাকারীরা নির্বিঘ্নে ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদেরকে নিয়ে শোক দিবসের অনুষ্ঠান করছে কিন্তু আমার কোনো খোঁজ কেউ নিচ্ছে না। উল্টো আমাকে অনশন থেকে উঠিয়ে দিতে নানা তৎপরতা চালাচ্ছে। গত সপ্তাহের বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে আমার ওপর হামলাকারীদের পরিচয় প্রকাশ করেছি। তাদের যতক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার ও গ্রেফতার করা না হচ্ছে ততক্ষণ অনশন চালিয়ে যাব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মো. মাহফুজ আলম বলেন, আয়াতের অনশনের কথা শুনে আমি সেখানে গিয়েছি। তাকে বোঝানো হয়েছে যে হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছে। তদন্ত শেষে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে সংবাদ সম্মেলনে আয়াত তার ওপর হামলাকারী হিসেবে ইংরেজি বিভাগের তানজিদ মঞ্জু, গণিত বিভাগের রায়হান ইসলাম ও মোবাশ্বের রিদম এবং হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শরিফুল ইসলামকে চিহ্নিত করেন। অভিযুক্তরা শান্ত-নাভিদ-শরীফ গ্রুপের সদস্য। হামলার ঘটনা তদন্তে হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক হারুন অর রশিদকে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।