১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের হাতে নির্মম হত্যার শিকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সব শহিদদের বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণের মধ্য দিয়ে উত্তরের বিভাগীয় নগরী রংপুরে পালিত হয়েছে জাতীয় শোক দিবস। দিবসের বিভিন্ন আয়োজন থেকে বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত বিদেশে পালিয়ে থাকা ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামিকে অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকরের দাবি তোলা হয়।
মঙ্গলবার সকাল ৯টায় নগরীর কাচারি বাজারের বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো. হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ পুলিশের রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি মো. আবদুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, জেলা পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী প্রমুখ।
এরপর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু, জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ছায়াদত হোসেন বকুল, যুগ্ম আহ্বায়ক মাজেদ আলী বাবলু, মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাশেম প্রমুখ।
পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে ১৫ আগস্টের সব শহিদদের প্রতি গার্ড অব অনার প্রদান, এক মিনিট নীরবতা পালন ও দোয়া মোনাজাত করা হয়। এরপর একে একে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জাতির পিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। পরে রংপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে একটি শোক র্যালি নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
সকাল ১০টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে দিবসের আলোচনা সভা ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
র্যাব-১৩ রংপুরের আয়োজনে সদর দপ্তর প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও জাতীয় শোক দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা করা হয়। পরে কুরআন খতম, রক্তদান কর্মসূচি, দোয়া ও এতিমদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। এতে র্যাব-১৩ এর অধিনায়কসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বিজিবি ৫১ রংপুর ব্যাটালিয়নের আয়োজনে সদর দপ্তর প্রাঙ্গণে দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।
এদিকে জাতির পিতাকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণে আওয়ামী লীগ, বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, রংপুর সিটি করপোরেশন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, বিজিবি রংপুর ৫১ ব্যাটেলিয়ন, র্যাব-১৩, রংপুর প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ দিনব্যাপী পৃথকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।
এছাড়াও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে।