ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে জামালগঞ্জে ৬ শিক্ষকের চাকরি
জামালগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২৩, ১১:০৯ পিএম
ভুয়া নাগরিকত্ব সনদ ব্যবহার করে ২ বোনসহ মোট ৬ জন জামালগঞ্জের বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৬ শিক্ষক নেত্রকোনা ও সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা হওয়ায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন উপজেলার নূরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল লেইছ ও সুজাতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল হক পাঠান
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত ৬ জন শিক্ষক পার্শ্ববর্তী নেত্রকোনা জেলা ও অন্যান্য উপজেলার বাসিন্দা হলেও জামালগঞ্জ উপজেলায় চাকরি হয়েছে।
শিক্ষক প্রমি আদিত্য এবং সঞ্চিতা আদিত্য তারা একই পিতা মাতার সন্তান। আবেদনে তারা ঠিকানা দিয়েছেন জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়নের তেলিয়াপাড়া গ্রামে। যা মিথ্যা ও বানোয়াট। তাদের স্থায়ী ঠিকানা নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলায় কাইটাইল ইউনিয়নের বড়ইকান্দি গ্রামে।
পিংকি রায় ও নিকসন রায় একই পিতা-মাতার সন্তান তাদের ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়নের নতুন পাড়া গ্রামের। কিন্তু তাদের স্থায়ী ঠিকানা মধ্যনগর উপজেলার চামারদানী ইউনিয়নের কাইতকান্দা গ্রামে।
মনিষা সিনহা, পিতা চিত্তরঞ্জন সিনহা চাকরি হয়েছে জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়নের নতুন পাড়া গ্রামের ঠিকানায়। কিন্তু তার আসল ঠিকানা মধ্যনগর উপজেলায়। স্মৃতি রানী তালুকদারের ঠিকানা জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়নের তেলিয়া গ্রামের ব্যবহার করা হলেও মূল ঠিকানা বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের বারংকা গ্রাম।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্তকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম রাব্বী জাহান বলেন, অভিযুক্তদের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদনের কাজ চলছে। যত দ্রুত সম্ভব প্রতিবেদন দিয়ে দেব।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাহবুব জামান যুগান্তরকে জানান, অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।