জিআই স্বীকৃতিতে কয়েকগুণ বেড়েছে কাঁচাগোল্লা বিক্রি
নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২৩, ০৯:৪৬ পিএম
প্রায় আড়াইশ বছরের ঐতিহ্যবাহী নাটোরের কাঁচাগোল্লা ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসাবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পাওয়ায় শহরের মিষ্টির দোকানগুলোতে বিক্রি বেড়েছে। তবে শোকের মাস চলায় আয়োজন করা হয়নি কোনো আনন্দ উৎসবের।
স্থানীয় একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে শুক্রবার সকাল ১০টায় আনন্দ র্যালি ও শহরের মোড়ে মোড়ে বিনামূল্যে কাঁচাগোল্লা বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও শোকের মাস চলায় শেষ পর্যন্ত তা স্থগিত রাখা হয়েছে। শোকের মাস শেষে আয়োজন করা হবে আনন্দ উৎসবের।
আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো উচ্ছ্বাস প্রকাশ না করলেও বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের হাতে এই স্বীকৃতিপত্র পৌঁছানোর খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর পুরো নাটোরবাসীই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আনন্দ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। সাধারণ মানুষ কাঁচাগোল্লা কিনে একে অন্যকে আপ্যায়ন করেছেন। কাঁচাগোল্লার কারিগর, ব্যবসায়ী-কর্মচারীরাও এই স্বীকৃতিতে খুশি। কোনো একটি দেশের নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের মাটি, পানি, আবহাওয়া ও সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা এবং সেখানকার জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি যদি কোনো একটি পণ্য উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তাহলে সেটিকে সেই দেশের ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
শহরের সবচেয়ে বড় মিষ্টির দোকান মৌচাক মিষ্টান্ন ভাণ্ডার ও শিলা মিষ্টি বাড়িতে কাঁচাগোল্লা কিনতে আসেন অনেক মানুষ। মৌচাক মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের মালিক আব্দুর রউফ ও শিলা মিষ্টি বাড়ির মালিক মোখলেসুর রহমান মুকুল বলেন, জিআই পণ্য হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া খবরে অনেক মানুষ পরিবারের জন্য কাঁচাগোল্লা কিনতে এসেছেন। তাই হঠাৎ করে কাঁচাগোল্লা বিক্রি বেড়ে গেছে কয়েক গুণ।
শহরের জয়কালীবাড়ি মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে দেখা গেছে, দিনটিকে স্মরণীয় করতে অনেকেই পরিবারের সবাইকে নিয়ে কাঁচাগোল্লা খেতে দোকানে এসেছেন। জয়কালী মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের মালিক প্রভাত কুমার পাল বলেন, বংশপরম্পরায় কাঁচাগোল্লার সঙ্গে আমাদের আবেগ ও সম্মান জড়িয়ে আছে। জিআই স্বীকৃতিতে আমাদের সম্মান বাড়ল। আমরা গর্বিত। এখানে কাঁচাগোল্লা কিনতে আসা কণ্ঠশিল্পী ও কলেজ শিক্ষক মাসুমা সুলতানা রুপা যুগান্তরকে বলেন, জিআই পণ্য হিসাবে স্বীকৃতি পাওয়ায় নাটোরের মানুষ হিসাবে আমরা খুবই গর্ব অনুভব করছি।