সাতকানিয়ায় পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ
সৈয়দ মাহফুজ-উন নবী খোকন, সাতকানিয়া
প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০২৩, ১০:২৭ পিএম
টানা বৃষ্টিপাত আর পাহাড়ি ঢলে শঙ্খ, ডলু, হাঙ্গরসহ ছোট-বড় নদী-খালের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে পৌরসদর ও উপজেলার ১৭ ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় লক্ষাধিক মানুষ।
রাস্তাঘাট, বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ায় সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। বান্দরবান-সাতকানিয়া সড়কের বাজালিয়া দস্তিদার হাটে সড়কের উপর পানি প্রবাহিত হওয়ায় সোমবার বিকাল থেকে বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। এছাড়া ফসলি জমি, মৎস্য ঘের ভেসে গিয়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক।
জানা গেছে, ডলু নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সাতকানিয়া পৌর সদরের ভোয়ালিয়াপাড়া, সতিপাড়া, রোজমরপাড়া, ছিটুয়াপাড়া, দক্ষিণ ঢেমশা, রামপুর, ছগিরাপাড়া, সামিয়ারপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে সাতকানিয়া হাসপাতাল, থানা, আদালত, উপজেলা পরিষদ ভবনের প্রাঙ্গণ। এসব স্থানে সড়কে ৪-৬ ফিট উপরে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া সাতকানিয়া সদরে ডলু নদীর তীর ভেঙে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। চরতী ইউনিয়নের দক্ষিণ কেশুয়া, সেনেরচর, তুলাতলী, উত্তর এবং দক্ষিণ ব্রাহ্মণডেঙ্গা, মধ্যম চরতীসহ চরতীর প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ এলাকা পানিতে ডুবে গেছে। দুইটি রাস্তা ভেঙে উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
তাছাড়া উপজেলার ছদাহা, কেঁওচিয়া, খাগরিয়া, কালিয়াইশ, ধর্মপুর, নলুয়া, বাজালিয়া, এঁওচিয়া, পশ্চিম ঢেমশা, মাদার্শা, সোনাকানিয়া ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী লিটন চৌধুরী বলেন, সাঙ্গু নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধের স্থানগুলো পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, সব ইউনিয়নে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ইতোমধ্যে পানিবন্দি মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের খাবার পানি, শুকনো খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের ইউনিয়নভিত্তিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা পর্যবেক্ষণ করছেন।