মনপুরায় পানিবন্দি ১০ গ্রামের বাসিন্দা
মনপুরা (ভোলা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০২৩, ০৮:৫৭ পিএম
মনপুরায় প্রবল বর্ষণ ও মেঘনার পানি বিপৎসীমার ওপর প্রবাহিত হয়ে চার দিন ধরে পানিবন্দি ১০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। এতে ওই সব গ্রামে বসবাসরত বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এখনো সরকারিভাবে কোনো সাহায্য সহযোগিতা না পাওয়ায় হাহাকার বিরাজ করছে। বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
এদিকে উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন চরকলাতলীর অবস্থা একই। সেখানে বসবাসরত ২০ হাজার মানুষের বেশিরভাগ পানিবন্দি অবস্থায় গত চার দিন ধরে রয়েছে বলে জানিয়েছেন কলাতলী চরে বসবাসরত ইউপি সদস্য আবদুর রহমান ও মো. আমিন।
এদিকে মেঘনার পানি গত তিন দিনের চেয়ে শনিবার কিছুটা কমে বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর প্রবাহিত হচ্ছে বলে যুগান্তরকে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ডিভিশন-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ।
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের চরযতিন, সোনারচর, দাসের হাট, চরমরিয়ম ও চরজ্ঞান গ্রাম জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের আলমনগর ও মাস্টারহাটের পশ্চিম পাশে পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন বাসিন্দারা। অপরদিকে মনপুরা ইউনিয়নের কাউয়ারটেক ও পূর্ব আন্দিরপাড় গ্রামের একই অবস্থা।
দুর্গত এলাকার হাসিনা, করিমন, শামসুন নাহার, শবনম, রাহাত, করিমসহ একাধিক মানুষ বলেন, চার দিন ধরে পানিবন্দি অবস্থায় অর্ধহারে-অনাহারে দিনযাপন করছি। কোনো সরকারি সাহায্য সহযোগিতা পাননি। আমরা মুড়ি ও পানি খেয়ে জীবনধারণ করছি।
এ ব্যাপারে হাজীরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন হাওলাদার জানান, চার দিন ধরে পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে পাঁচটি গ্রাম। সরকারিভাবে সাহায্য আসলে তালিকা করে সহযোগিতা করা হবে।
জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফজলুল হক জানান, সরেজমিনে ঘুরে তালিকা করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা নওরী হক জানান, সরকারিভাবে কোনো কিছু আসলে দেওয়া হবে।