গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় শাশুড়ির মৃত্যুদণ্ড
কিশোরগঞ্জ ব্যুরো
প্রকাশ: ০৩ আগস্ট ২০২৩, ০৬:৪৫ পিএম
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে গৃহবধূ পাপিয়া আক্তারকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় পারুল আক্তার নামে তার শাশুড়িকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. হাবিবুল্লাহ আসামির উপস্থিতিতে জনাকীর্ণ আদালতে মৃত্যুদণ্ডের এ রায় ঘোষণা করেন।
একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।
কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট এমএ আফজল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২ মে যৌতুকের জন্য করিমগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ উলুখলা গ্রামের গৃহবধূ পাপিয়া আক্তারকে মারপিট করে একপর্যায়ে কেরোসিন ঢেলে তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয় শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তাকে উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় পাপিয়ার।
এ ঘটনায় নিহত পাপিয়া আক্তারের ভাই সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে পাপিয়ার স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি ও ফুফু শাশুড়িকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করিমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে স্বামীকে বাদ দিয়ে বাকি তিনজনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট এমএ আফজল এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোজাম্মেল হক মাখন।