লালমোহনে মো. মহিউদ্দিন নামে এক প্রতিবন্ধী যুবককে মৃত দেখিয়ে ভাতা অন্যের নামে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই যুবক উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের চৌমুহনী এলাকার মাতাউল্যাহ চৌধুরীবাড়ির আফতার আলীর ছেলে।
মহিউদ্দিন বলেন, ছোটবেলায় জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আমার দুই পা প্যারালাইজড হয়ে যায়। এরপর থেকেই বরণ করতে হয় পঙ্গুত্ব; যার জন্য ভাতা পেতে আবেদন করি। ওই আবেদনের ভিত্তিতে ২০০৭ সাল থেকে প্রতিবন্ধী ভাতা পেতে শুরু করি। হঠাৎ করে ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে ওই ভাতার টাকা পাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। ভাতা বন্ধ হওয়ার কারণ জানতে সমাজসেবা অফিসে গিয়ে জানতে পারি- আমি মারা গেছি। আমি মারা যাওয়ায় আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নাকি অন্যজনের নামের তালিকা দেওয়া হয়েছে। তবে আমি ‘মারা যাইনি, জীবিত আছি’ এটা প্রমাণ করতে বহুবার চেয়ারম্যান-মেম্বারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। অনে বার গিয়েছি সমাজসেবা অফিসে। তবে এখন পর্যন্ত নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে না পারায় ওই ভাতা বন্ধ রয়েছে। আমার দাবি- খুব দ্রুত যেন ভাতাটি পুনরায় চালু করা হয়।
রমাগঞ্জের ইউপি চেয়ারম্যান মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, মহিউদ্দিনের নাম কিভাবে মৃত তালিকায় উঠেছে তা আমার জানা নেই। কেউ হয়তো আমার স্বাক্ষর জাল করে এ অপকর্ম করেছে। মহিউদ্দিনের ঘটনাটি জানার পর আমি নিজেই সমাজসেবা কার্যালয়ে গিয়েছি। তাদের বলেছি এ সমস্যা দ্রুত সমাধান করে দিতে।
এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মাসুদ জানান, ঘটনাটি ২০২১ সালে ঘটেছে। তখন এখানে অন্য কর্মকর্তা ছিলেন। আমি যোগদান করেছি মাত্র কয়েক মাস। ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তার সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।