ট্রাকচালকের হাত ধরে উধাও ৪ সন্তানের জননী
সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৩, ০৮:১৮ পিএম
ফেনীর সোনাগাজীতে ৪ সন্তানের জননী (৪০) এক প্রবাসীর স্ত্রী একই এলাকার ট্রাকচালক শান্তর (২৮) হাত ধরে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর শাশুড়ি (৫৫) বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, স্বামী সৌদি আরবে থাকার সুবাধে দেশে বিভিন্ন পারিবারিক কাজের জন্য ওই গৃহবধূর অ্যাকাউন্টে টাকা জমা রাখেন। সর্বশেষ অ্যাকাউন্টে ৩ লাখ টাকা ছিল। এছাড়াও কানের দুল, চেইনসহ কয়েক ভরি স্বর্ণ নিয়ে গত ৫ জুলাই বিবাহিত শান্তর সঙ্গে পালিয়ে যায়। শান্তর একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
শান্তর মাকে ওই গৃহবধূর শাশুড়ি একাধিকবার তাদের পরকীয়ার বিষয়ে অবগত করলেও তারা তা আমলে না নিয়ে উল্টো লাঞ্ছিত করে। অন্যদিকে প্রবাসীর স্ত্রীর পরিবারকে জানানো হলেও বাড়িতে এসে তাকে সতর্ক করে যায়।
ঘটনার দিন বাড়ির সবাই কাজে বাহিরে থাকে এবং প্রবাসীর স্ত্রীও তার ছেলেমেয়েদের মাদ্রাসায় পাঠান। এ সুযোগে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার এবং কাপড়চোপড়সহ নিয়ে চলে যান তিনি। মাদ্রাসা থেকে মেয়ে বাড়িতে এসে তার মাকে দেখতে না পেয়ে ঘরের জিনিসপত্র এলোমেলো দেখে তার নানার বাড়িতে যায়। সেখানেও না পেয়ে মায়ের মোবাইল নাম্বারে কল দিলে বন্ধ পায়। পরে শান্তর পরিবারকে জানায়। একইসঙ্গে শান্তর মোবাইলও বন্ধ পাওয়া যায়।
পালিয়ে যাওয়া প্রবাসীর মেয়ে (১৬) বলে- আমিসহ আমার আরও তিন ভাই রয়েছে। আমি দেখতাম আমার আম্মু মোবাইলে কার সঙ্গে কথা বলছে এবং এসএমএস করছে; কিন্ত আমাদের মোবাইল দেখতে দিত না।
ট্রাকচালক শান্তর মা কহিনুর আক্তার বলেন, আমি আগে থেকেই প্রবাসীর স্ত্রীকে আদর করতাম আমার প্রতিবেশী হিসেবে। আমার ছেলে একটি বিয়ে করেছিল আমাদের না জানিয়ে। আমরা তা মেনে নিয়েছি। তার একটা ছোট্ট মেয়েও আছে। মানুষের মুখে শুনতেছি সে ওই গৃহবধূকে নিয়ে পালিয়ে গেছে।
চরচান্দিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য ইস্কান্দার রকি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমাকে তাদের পরিবার অবগত করেছে। আমি তাদের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছি।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদ হোসেন অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন।