Logo
Logo
×

সারাদেশ

লিফট বিভ্রাট, আটকা ১৮ জন আধাঘণ্টা পর উদ্ধার

Icon

শেরপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২১ জুলাই ২০২৩, ১০:৫৭ পিএম

লিফট বিভ্রাট, আটকা ১৮ জন আধাঘণ্টা পর উদ্ধার

শেরপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের লিফট বিভ্রাট যেন থামছেই না। নানান সময় এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে উদাসীন রয়েছেন। হাসপাতালের দুইটি লিফট প্রতিদিনই বেশ কয়েকবার করে রোগী ও রোগীর স্বজনদের নিয়ে আটকে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে কয়েকজন বৃদ্ধ ও দুই দিনের একটি শিশু বাচ্চাসহ ১৮ জন লিফটে আটকে যান। 

আধাঘণ্টা পার হয়ে গেলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উদ্ধারের কোনো ব্যবস্থা নেয়নি এবং ফায়ার সার্ভিসে পর্যন্ত খবর দেয়নি। পরে প্রত্যক্ষদর্শীরা খবর দেওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের একটি দল জেলা সদর হাসপাতালে গিয়ে পাঁচ মিনিটের মধ্যে লিফটে আটকে পড়া ১৮ জন আরোহীকে উদ্ধার করে। দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকায় ভয়, গরম ও শ্বাসকষ্টে তাদের বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের উদ্ধারের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বিভিন্নজন নানান ধরনের মন্তব্য করছেন।  

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি লিফট অপারেটর আছে।  

লিফটে আটকেপড়া এক নারী বলেন, আর কিছুক্ষণ থাকলে মরে যেতাম। অনেক চিল্লাচিল্লি করেও বাইরে থেকে কোনো সাড়া পাচ্ছিলাম না। ভয়ে আমার শরীর আস্তে আস্তে ঠাণ্ডা হয়ে আসছিল। আমরা দরজাতে আঘাত করছিলাম যেন বাইরে থেকে মানুষ বুঝতে পারে। আধাঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে আমাদের উদ্ধার করল।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শেরপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক জাবেদ হোসেন মুহাম্মদ তারেক বলেন, স্থানীয়রা খবর দেওয়ার পর আমাদের একটি দল পাঁচ মিনিটের মধ্যে ১৮ জন আরোহীকে উদ্ধার করে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বৃদ্ধা ও একটি শিশু ছিল। 

এ ব্যাপারে শেরপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জসিম উদ্দিন বলেন, আটকে থাকার খবর কেউ আমাদের দেয়নি। তাই উদ্ধারে দেরি হয়েছে। 

তিনি দাবি করেন, মানুষ লোডের চেয়ে অতিরিক্ত উঠায় এ সমস্যা হয়। 

তবে লিফট অপারেটর থাকার পরেও কেন এমন? এ প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে তিনি উলটো দাবি করেন, মানুষ জোর করে উঠে পড়ে আর বাধা দিলে অপারেটরের ওপর হাত তোলে। 

তবে এ ধরনের সমস্যা সমাধানে আরও দুইটি নতুন লিফট লাগানোর কথা জানান তিনি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম