Logo
Logo
×

সারাদেশ

জাহাজের রড কাটার সময় শ্রমিকের মৃত্যু

Icon

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২৩, ১০:৪৮ পিএম

জাহাজের রড কাটার সময় শ্রমিকের মৃত্যু

কেরানীগঞ্জে ডকইয়ার্ডে পরিত্যক্ত জাহাজের রড কাটার সময় উপর থেকে পড়ে আব্দুর রব নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের দোলেশ্বর বালুর মাঠ এলাকার বুড়িগঙ্গা নদীর তীরবর্তী এসকে ডকইয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

মৃত আব্দুর রব পটুয়াখালীর গলাচিপা থানার পানপট্টি এলাকার দলিল উদ্দিনের ছেলে। সে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন পারগেন্ডারিয়া এলাকায় শুভ মিয়ার বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করত।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আব্দুর রব দুপুরে কাজের বিরতিতে খাবারের জন্য জাহাজের উপর থেকে রশি বেয়ে নিচে নামার সময় রশি ছিঁড়ে প্রায় ৩০ ফুট নিচে স্তূপ করা রডের উপরে পড়ে গুরুতর আহত হন। অন্যান্য শ্রমিকরা তাকে উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহাজামান জানান, দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়ে লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এছাড়া সাদেক নামে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে নিজ ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে কোনাখোলা পুলিশ ফাঁড়ি।

সাদেক দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন বাস্তা ইউনিয়নের বাঘাসুর এলাকার বাদশা মিয়ার বাড়িতে ভাড়া বাসায় বড় বোনের সঙ্গে থাকত। তিনি নেত্রকোনার দুর্গাপুর থানার জাসারপাড়া এলাকার সিদ্দিক মিয়ার ছেলে।

নিহতের বড়বোন রোজিনা জানান, তিন মাস পূর্বে স্বামীর সঙ্গে তার ডিভোর্স হয়েছে। ঈদের ছুটিতে রোজিনা গ্রামের বাড়িতে যাওয়ায় পাকা বাড়িতে তার ভাই সাদেক একাই থাকত। মঙ্গলবার রোজিনার সাবেক স্বামী এসে ছোট ভাই সাদেকের সঙ্গে ঝগড়াঝাঁটি করেছে। রোজিনার দাবি, তার সাবেক স্বামী ছোট ভাইকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে গেছে। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।

কোনাখোলা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আব্দুল হাদী জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সাদেককে হত্যা করা হয়েছে বলে বড় বোনের অভিযোগ রয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে এবং সেই অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম