রাঙামাটিতে ৩১ বছর পর ধর্ষণ মামলার রায়, ২ আসামির ১৪ বছরের কারাদণ্ড
রাঙামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৩, ১০:৩৯ পিএম
রাঙামাটিতে দীর্ঘ ৩১ বছর পর একটি ধর্ষণ মামলার রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। রায়ে দোষী সাব্যস্ত ঘোষণা করে মামলার দুই আসামিকে চৌদ্দ বছর করে কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক জরিমানা বা অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। আসামিরা হলেন- রাঙামাটি রিজার্ভবাজারের পুরান বস্তির মো. ইউছুফ ও লংগদু উপজেলার গুলশাখালীর ছিদ্দিক মিয়া।
সোমবার দুপুরে রাঙামাটির সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ সহিদুল ইসলাম আসামিদের অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। ১৯৯১ সালের ২০ নভেম্বর এ ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. কামরুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, আসামিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, সাক্ষ্য-প্রমাণসহ যাবতীয় সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দণ্ডবিধি ৩৭৬সহ ১৯৮৩ সালের নারী নির্যাতন (নিবর্তক শাস্তি) অধ্যাদেশ’এর ৪(গ)ধারায় অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দোষী সাব্যস্ত করে দুইজনকেই ১৪ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এদিকে রায়ের বিরোধিতা করে উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ১৯৯১ সালের ২০ নভেম্বর রাঙামাটি শহরের রাণী দয়াময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত এক শিক্ষার্থী শহরের রিজার্ভবাজার লঞ্চঘাট থেকে একটি সাম্পান ভাড়া করে কাপ্তাই হ্রদ দিয়ে চক্রপাড়ার বাসায় যাওয়ার মাঝপথে সাম্পানটি আটকিয়ে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ইউছুফ ও ছিদ্দিক। তখন ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য সাম্পানের শিশু চালক ও ধর্ষিতাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় ধর্ষক ইউছুফ ও ছিদ্দিক। কিন্তু পরবর্তীতে সাম্পানের শিশু চালকের মাধ্যমে ধর্ষকদের পরিচয় নিশ্চিত হয় ভুক্তভোগী ও তার পরিবার। এরপর ইউছুফ ও ছিদ্দিককে আসামি করে রাঙামাটি কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলার পর থানার উপ-পরিদর্শক রবীন্দ্র প্রামাণিক ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে সাম্পানসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র জব্দ করা হয়।