Logo
Logo
×

সারাদেশ

দুই কারণে রাঙামাটিতে হঠাৎ ম্যালেরিয়ার প্রকোপ

Icon

রাঙামাটি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৩, ১০:৪৭ পিএম

দুই কারণে রাঙামাটিতে হঠাৎ ম্যালেরিয়ার প্রকোপ

সদরসহ রাঙামাটির বিভিন্ন দুর্গম এলাকায় হঠাৎ ম্যালেরিয়ার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ছে। বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। জেলার জুরাছড়ি, বাঘাইছড়ি, বরকল ও বিলাইছড়ি উপজেলায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোগী শনাক্ত হচ্ছেন। বর্ষা এবং মশারির কার্যকারিতা কমে যাওয়ায় ম্যালেরিয়ার প্রকোপ ছড়ানোর অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন জেলার সিভিল সার্জন। তবে আতঙ্কের কারণ নেই জানান তিনি।

সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, রাঙামাটির বিভিন্ন পাহাড়ি এলকায় গত মে মাস থেকে ম্যালেরিয়ার বিস্তার ঘটছে। জেলা সদরের চেয়ে বিভিন্ন উপজেলায় দুর্গম এলাকাগুলোতে এর প্রকোপ বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে চিকিৎসায় রোগীরা সেরে উঠছেন। সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছেন জুরাছড়ি উপজেলায়। উপজেলার দুর্গম মৈদং ও দুমদুম্যা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। মৈদং ইউনিয়নের আমতলা, ভুয়াতলীছড়া, জামেরছড়ি এবং দুমদুম্যা ইউনিয়নের গবাছড়ি, করইদিয়া, বগাখালী, দুমদুম্যা লাম্বাবাগছড়া ও  আদিয়াবছড়া গ্রামের মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এসব এলাকা খুবই দুর্গম। যাতায়াতের জন্য সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় ২০১৪ সালে ম্যালেরিয়ায় ১৭ হাজার ৪৫ জন, ২০১৮ সালে ২ হাজার ৯৯৩ জন, ২০১৯ সালে ৬ হাজার ৩ জন, ২০২০ সালে ১ হাজার ৩৭৭ জন ও ২০২১ সালে ১ হাজার ৬০০ জন আক্রান্ত হয়েছিল।

সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হলে সিভিল সার্জন ডা. নীহার রঞ্জন নন্দী বলেন, দুর্গম পাহাড়ে বিশেষ করে জুরাছড়ি উপজেলার মৈদং ও দুমদুম্যায় রোগীর সংখ্যা কিছুটা বেশি। তবে এতে শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ সময়ে এমনিতেই ম্যালেরিয়া রোগ বেড়ে যায়। ইতোমধ্যে দুর্গম ওইসব এলাকায় আমাদের ও ব্র্যাকের স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করছেন। তারা পর্যাপ্ত কীটনাশক ওষুধ নিয়ে গেছেন। এলাকায় এলাকায় তারা রক্ত পরীক্ষা করছেন। খুব দ্রুতই এ প্রকোপ কমে আসবে।

তিনি আরও বলেন, ব্র্যাক থেকে সরবরাহ করা ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক মশারির মেয়াদকাল তিন বছর। এ সময় পেরিয়ে গেলে এ মশারির কার্যকারিতা থাকে না। বিতরণ করা মশারির মেয়াদকাল শেষ হয়ে যাওয়ায় হঠাৎ ম্যালেরিয়া বেড়ে গেছে। এ বছরের জুনে জেলায় নতুন করে সাড়ে তিন লাখ মশারি বিতরণ করা হয়েছে। পাহাড়ে ম্যালেরিয়া নির্মূল করতে কাজ করে যাচ্ছি। এবার আমরা ঘরের রুম অনুপাতে মশারি দিয়েছি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম