বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি, ১৫ গ্রাম প্লাবিত
ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৩, ০৯:০৮ পিএম
ফাইল ছবি
উজান থেকে ধেয়ে আসা পাহাড়ি ঢলে গর্জে উঠেছে তিস্তা। এতে প্লাবিত হয়েছে নীলফামারীর ১৫টি গ্রাম। শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বানের পানি।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তিস্তার পানি বাড়তে থাকে এবং সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে গর্জে উঠে তিস্তা। শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে তিস্তার পানি ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে সকাল ৯টায় পানি কিছুটা কমে ৩২ সেন্টিমিটারে নেমে এসেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।
তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ী, খগাখড়িবাড়ী, খালিশা চাপানি, ঝুনাগাছ চাপানি ও গয়াবাড়ী ইউনিয়নের প্রায় ১৫টি চরের মানুষের বসতবাড়িতে পানি উঠেছে। গ্রামের বাসিন্দারা রাত থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে শুরু করেছে বলে জানান জনপ্রতিনিধিরা।
খালিশা চাপানি ইউপি চেয়ারম্যান সহিদুজ্জামান কেনজুল বলেন, ছোটখাতা ও বাইশপুকুর গ্রামের সহস্রাধিক পরিবারের বসতবাড়িতে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে।
ডিমলা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) বেলায়েত বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করার জন্য জনপ্রতিনিধিদের বলা হয়েছে। সরকারিভাবে ত্রাণ বরাদ্দ দেওয়া আছে। তালিকা পাওয়া মাত্র ত্রাণ বিতরণ করা হবে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতীফ খান জানান, তার ইউনিয়নের দুটি গ্রামের প্রায় এক হাজার পরিবারের বাড়িঘরে পানি উঠেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারীর ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ দৌলা জানান, উজানের ঢলে তিস্তার পানি গত দুদিন ধরে হু হু করে বাড়ছে। শুক্রবার সকালে এ মৌসুমের সর্বোচ্চ বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার অতিক্রম করেছে তিস্তার পানি। পরিস্থিতি মোকাবেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী সর্তক রয়েছেন। তবে দুপুরের পর পানি কমতে থাকে। দুপুর ১২টায় তিস্তার পানি বিপদসীমার ১৭ সেন্টিমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিকালে আরও পানি কমতে পারে বলে পাউবো সূত্রে জানিয়েছে।