৩০ বছর পর জানা গেল তিনি ভুয়া চিকিৎসক!
সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৩, ১০:০৬ পিএম
ডাক্তার না হয়েও ভুয়া উপাধি ব্যবহার করে শুধু প্রশিক্ষণের জ্ঞান নিয়ে প্রায় ৩০ বছর ধরে চক্ষু রোগের চিকিৎসা দিচ্ছিলেন পাবনার সাঁথিয়ার এমএইচ শাহীন। ৩০ বছর পর জানা গেল তিনি একজন ভুয়া চিকিৎসক।
সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার করমজা ইউনিয়নের করমজা সরদারপাড়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এমএইচ শাহীনকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সাঁথিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মনিরুজ্জামান।
জানা গেছে, এমএইচ শাহিন এক সময় ডাক্তারের কম্পাউন্ডার ছিলেন। সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে তিনি তার নিজ বাসভবনে চেম্বার খুলে চোখ পরীক্ষার বিভিন্ন যন্ত্রাংশসহ প্রেসক্রিপশনের মাধ্যমে চক্ষু রোগের চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রশাসন সোমবার সন্ধ্যায় অভিযান পরিচালনা করে মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ অনুযায়ী এমবিবিএস ডিগ্রি ছাড়া ডাক্তার উপাধি ব্যবহার করে চিকিৎসা প্রদানের অপরাধে তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন। এ সময় চক্ষু পরীক্ষার সব যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়।
অভিযুক্ত শাহীন ডাক্তার উপাধি ব্যবহার করলেও তিনি প্রশিক্ষণের কাগজ ছাড়া কোনো ডাক্তারি সনদ দেখাতে পারেননি। অভিযান পরিচালনার সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কোনো ধরনের ডাক্তারি পড়াশোনা ও সার্টিফিকেট ছাড়া চোখের মতো স্পর্শকাতর অঙ্গের চিকিৎসাসেবা দেওয়া যে কারো জন্য বিপদ হতে পারে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সাঁথিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।