নারীকে গণধর্ষণ-ভিডিও ধারণ, রফার নামে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিল আ.লীগ নেতা!
রংপুর ব্যুরো ও মিঠাপুকুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৩, ১০:১২ পিএম
রংপুরের মিঠাপুকুরের ইমাদপুরে এক নারীকে (২২) গণধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পুনরায় গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মিঠাপুকুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই নারী।
উপজেলার ইমাদপুর ইউনিয়নের নাওকাটায় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে এক লাখ ৮০ হাজার টাকায় রফাদফা করেন ইমাদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান অনিল কুমার গাঙ্গুলী। কিন্তু তিন মাসেও ওই ভুক্তভোগীকে টাকা দেননি ওই আওয়ামী লীগ নেতা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষিতা ওই নারী দীর্ঘদিন ধরে বাবার বাড়ি অবস্থান করছেন। গত ২৮ মার্চ প্রতিবেশী স্বপন চন্দ্র মহন্ত ও বাবু প্রামাণিক রাতে বেড়াতে এসে জানতে পারেন ওই নারীর বাবা-মা আত্মীয়ের বাড়িতে গেছেন। সেই সুযোগে অভিযুক্ত স্বপন পেপসির বোতলে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খেতে দিলে কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়েন ওই নারী। পরে দুইজন মিলে সারা রাত পালাক্রমে ধর্ষণ করে ও মোবাইল ফোনে নগ্ন ভিডিও ধারণ করে ভোরবেলা চলে যায়।
পুনরায় ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে গত ২ এপ্রিল রাতে পার্শ্ববর্তী ইমাদপুর পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আড়ালে ডেকে নিয়ে দুজনে গভীর রাত পর্যন্ত গণধর্ষণ করে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে ইমাদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অনিল কুমার গাঙ্গুলী বিষয়টি এক লাখ ৮০ হাজার টাকায় রফাদফা করেন। কিন্তু টাকাগুলো ধর্ষিতার পরিবারকে না দিয়ে আত্মসাতের চেষ্টা করছেন। তিন মাস ধরে আপসনামা ও টাকা না পাওয়ায় থানায় অভিযোগ করেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী নারীর মা।
থানায় অভিযোগের পর বিভিন্ন দিক থেকে হুমকি ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে পরিবারটি। বর্তমানে পুলিশ ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রয়েছেন ওই ভুক্তভোগী নারী।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনাটি রফাদফা করা আওয়ামী লীগ সভাপতি অনিল কুমার গাঙ্গুলী বলেন, ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। প্রথম ও দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে ঘটনা ঘটেছিল। সেটি সমাধান করা হয়েছে।
মিঠাপুকুর থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান বলেন, প্রায় তিন মাস আগে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছিল। অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।