আপত্তিকর ভিডিওর দায় স্বীকার করলেন ইউপি চেয়ারম্যান
পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৩, ০৭:২৭ পিএম
খুলনার পাইকগাছায় আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল সংক্রান্ত বিষয়ে বরখাস্ত করা চেয়ারম্যান দায় স্বীকার ও ক্ষমা চেয়ে জবাব দিয়েছেন। সাময়িক বরখাস্তের পর কেন স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে না- তা ১০ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলার পর তিনি এ জবাব দেন।
এদিকে ইউনিয়নবাসীর পক্ষ থেকে ঘটনাটি মিথ্যা বানোয়াট পরিকল্পিত আখ্যা দিয়ে চেয়ারম্যানের পক্ষে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলার লতা ইউপি চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাসের আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হয়। এ কারণে স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি তার বরখাস্তের দাবিতে মানববন্ধন ও বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানান।
বিষয়টি আমলে নিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমিন প্রধান তাকে ২৮ মার্চ সাময়িক বরখাস্ত করেন। কেন স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে না তা ১০ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়। গত ২ জুলাই খুলনা জেলা প্রশাসক বরাবর তিনি তার দায় স্বীকার ও ক্ষমা চেয়ে জবাব দিয়েছেন।
চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাস মেডিকেল সাইন্সের কথা উল্লেখ করে বলেন, ৭৫ ভাগ পুরুষ ও ৪২ ভাগ নারী কোনো না কোনোভাবে হস্তমৈথুনে জড়িত। এটা কোনো বেআইনি ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে পড়ে না। তার ঘরের মধ্যে একান্ত পরিবেশে কর্মটি করাকালে কতিপয় নষ্ট চরিত্রের মানুষ অতি গোপনে ছবি তুলে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়ে অপরাধ করেছে। যাতে তার সম্মানহানি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। তিনি এ কর্মকাণ্ডের জন্য দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনা করে সাময়িক বহিষ্কার প্রত্যাহারের দাবি জানান।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদের সামনে প্রধান সড়কে ঘটনাটি বানোয়াট ও মিথ্যা আখ্যা দিয়ে উপজেলা পরিষদের সামনে চেয়ারম্যানের পক্ষে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।