![কালো টুপি দেখে জানা গেল মা-ছেলের খুনি কে!](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2023/07/05/image-692604-1688556754.jpg)
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে এক প্রবাসীর ঘুমন্ত স্ত্রী-পুত্রকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে পৗরসভার পাঁচড়া বেপারী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ঘটনাস্থলের একটি কক্ষ থেকে পাওয়া কালো টুপির সূত্র ধরে প্রকৃত খুনি কে তা জানা গেছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন- নিপা আক্তার (২৭) ও তার আট বছর বয়সি শিশুপুত্র আলী আহসান মুজাহিদ। নিপা আক্তারের স্বামী আনোয়ার হোসেন দুবাই প্রবাসী।
নিহত নিপা আক্তারের পিতা জালাল আহমেদের অভিযোগ, আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে তার ভাই মীর হোসেনের সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। পূর্ব বিরোধের জের ধরে মীর হোসেনের ছেলে আবদুল্লাহ আল শাহেদ এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাত ৯টায় নিপা আক্তার ছেলে আলী আহসান মুজাহিদকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী মামাশ্বশুর আজিজুল ইসলামের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, এ সুযোগে হত্যাকারী ঘরে ঢুকে নির্মাণাধীন টয়লেটে লুকিয়ে ছিলেন। রাতে ঘরে ফিরে নিপা ছেলেকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়লে আনুমানিক আড়াইটার দিকে কাঠের টুকরো দিয়ে পিটিয়ে তাদের গুরুতর জখম করে। এ সময় চিৎকার শুনে লোকজন এসে মুজাহিদ ও তার মা নিপা আক্তারকে গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত ডাক্তার নিপাকে মৃত ঘোষণা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আলী আসান মুজাহিদকে ঢাকা নেয়ার পথে মারা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় অপরাধী শাহেদ পালিয়ে গেলেও পুলিশ আটক করতে সক্ষম হয়েছে। যারা খুন হয়েছেন তাদের বাড়ির একটি কক্ষ থেকে একটি কালো টুপি উদ্ধার করা হয়। ওই টুপির সূত্র ধরেই অপরাধীকে শনাক্ত করা হয়।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, অপরাধী নিজে স্বীকার করেছেন তিনি কোথায় কিভাবে লুকিয়ে থেকে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি একটি বড় কাঠের টুকরো দিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় তাদের মাথা ও মুখের ওপর আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলে মারা যান নিপা। পরে তার ছেলে। এই বিষয়ে বিস্তারিত প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হবে।