Logo
Logo
×

সারাদেশ

প্রেমিকাকে গলা কেটে হত্যায় সোহাগের ফাঁসির আদেশ

Icon

ঝালকাঠি ও নলছিটি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৩, ০৭:৩৮ পিএম

প্রেমিকাকে গলা কেটে হত্যায় সোহাগের ফাঁসির আদেশ

ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী বেনজির জাহান মুক্তাকে গলা কেটে হত্যার দায়ে প্রেমিক মো. সোহাগ মীরকে (২৮) ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়ে রায় দিয়েছেন ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালত। একইসঙ্গে সোহাগ মীরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

মঙ্গলবার বেলা ১১টায় জেলা দায়রা জজ মেহাম্মদ ওয়ালিউল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রুস্তম আলী খান রায় ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত সোহাগ মীর পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার চাকামাইয়া ইউনিয়নের আনিপাড়া গ্রামের ছোবাহান মীরের ছেলে। তিনি ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকের কাজ করতেন।

আদালতে মামলার নথি পর্যবেক্ষণ ও পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল মান্নান রসুলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার বাড়ইকরণ গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর হাওলাদারের মেয়ে ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্রী বেনজীর জাহান মুক্তার (১৯) সঙ্গে মোবাইল ফোনে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় এবং প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় সোহাগ মীরের। কিছুদিন সম্পর্ক চলার পর তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়।

ঘটনার দিন ২০১৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি দুপুর দেড়টার দিকে সোহাগ ঢাকা থেকে এসে মোবাইল ফোনে মুক্তাকে তাদের বাড়ির কাছে কাপড়িয়া বাড়ির নতুন রাস্তার কাছে ডেকে আনে দেখা করার জন্য। দেখা করার জন্য মুক্তা ঘটনাস্থলে এলে কথাবার্তার একপর্যায়ে সোহাগ মীর চাকু দিয়ে মুক্তার গলায় একাধিক আঘাত করে। মুক্তা রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়লে সোহাগ পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা মুক্তাকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

ঘটনার পর ওই রাতে নিহত মুক্তার বাবা মো. জাহাঙ্গীর হাওলাদার বাদী হয়ে নলছিটি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার তিন দিন পর ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখ নলছিটি থানা পুলিশ ঝালকাঠি ডিবি পুলিশের সহায়তায় পটুয়াখালী জেলার কলাপড়া উপজেলার চাকমাইয়া গ্রামের ফুপুর বাড়ি থেকে সোহাগ মীরকে গ্রেফতার করে নলছিটি নিয়ে আসে। পরের দিন ৮ ফেব্রুয়ারি সোহাগ মীরকে আদালতে সোপর্দ করা হলে সে আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

২০২০ সালের ৫ মার্চ সোহাগ মীরকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করে পুলিশ। ২০২১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। ৫৩ কার্যদিবসে ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে জেলা ও দায়রা জজ মো. ওয়ালিউল ইসলাম রায় ঘোষণা করেন।

আসামি সোহাগের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন লিগ্যাল এইড নিয়োজিত আইনজীবী মঞ্জুর হোসেন। বাদীপক্ষে ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান রসুল।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম