হোলি আর্টিজানে নিহত এসি রবিউলকে স্মরণ
যুগান্তর প্রতিবেদন, মানিকগঞ্জ
প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৩, ১০:৪১ পিএম
ছবি: যুগান্তর
ঢাকার গুলশানে হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় শহিদ এসি রবিউল করিমের (কামরুল) সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে মানিকগঞ্জের কাটিগ্রামে শনিবার সকালে শোক র্যালি ও বাসাই এলাকায় স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার সকাল ১০টায় রবিউল প্রতিষ্ঠিত স্কুল নজরুল বিদ্যাসিঁড়ির সামনে থেকে শোক র্যালি শুরু হয়ে রবিউলের কবরের পাশে গিয়ে শেষ হয়। র্যালিতে ব্লমসের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, এলাকাবাসী ও রবিউলের বন্ধুরা অংশ নেন। পরে তারা রবিউলের কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।
শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে তারা উপজেলার আটিগ্রাম ইউনিয়নের বাসাই গ্রামে ব্লুমস বিশেষায়িত বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে যান। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় প্রতিষ্ঠানের সভাপতি জিআর শওকত আলী সভাপতিত্ব করেন।
বক্তব্য দেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আব্দুল আলীম খান, ব্লুমসের সদস্য সচিব শহিদ রবিউল করিমের ছোট ভাই শামসুজ্জামান শামস, সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন কচি, পরিচালক (অর্থ বিভাগ) মো. গোলাম সারোয়ার, আজীবন সদস্য মো. সানোয়ার হোসেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর দেওয়ান মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, রাজবাড়ী সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক রকিবুল হাসান খান, রবিউলের সহধর্মিণীর বড় ভাই চিকিৎসক কামাল উদ্দিন প্রমুখ।
শোকসভায় বক্তারা রবিউলের স্বপ্ন পূরণে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য তার প্রতিষ্ঠিত ব্লুমস বিশেষায়িত বিদ্যালয় পরিচালনায় সবার সহযোগিতা চেয়েছেন।
শহীদ এসি রবিউলের ছোট ভাই শামসুজ্জামান শামস বলেন, ২০১৬ সালের এই দিনে আমরা আমাদের ভাইকে হারিয়েছি। মানুষের জন্য দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে তিনি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য এ স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি একটি বৃদ্ধাশ্রম ও বিশেষায়িত শিশুদের জন্য আবাসিক ভবন করতে চেয়েছিলেন।
তিনি বলেন, জঙ্গিদের হাত থেকে মানুষকে বাঁচাতে গিয়ে তিনি শহিদ হয়েছেন। তার আত্মত্যাগ আমাদের জন্য গৌরবের। তার যেসব কাজ অসম্পূর্ণ রয়েছে, সেগুলোকে সম্পূর্ণ করতে হবে। তার কাজগুলোকে ভালোবাসলেই তার প্রতি ভালোবাসা জানানো হবে। স্কুলটি পরিচালনা করতে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতার শিকার হতে হচ্ছে। এজন্য সরকারি বেসরকারি সহযোগিতা প্রয়োজন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আব্দুল আলীম খান বলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) থাকার সময় রবিউলের সঙ্গে পরিচয় হয়। সে এই স্কুলের স্বপ্ন দেখেছিল। এরপর সেটি প্রতিষ্ঠা করে। একটি ছোট ঘর থেকে ধীরে ধীরে এখানে ভবন গড়ে তোলা হয়েছে। তবে বর্তমানে বিদ্যালয় পরিচালনায় বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
আব্দুল আলীম খান বলেন, শিক্ষকদের বেতন পরিশোধ করতে কষ্ট হচ্ছে। তবুও শিক্ষকরা বিদ্যালয়টি পরিচালনা করছেন। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের এই বিদ্যালয়টি পরিচালনায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, সবাই মিলে স্কুলের পাশে দাঁড়িয়ে এটিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তাহলেই রবিউলের স্বপ্ন বেঁচে থাকবে।