প্রেমের টানে নোয়াখালী এসে ঘর বাঁধলেন মালয়েশীয় তরুণী
নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৩, ০২:২০ পিএম
ফরহাদ হোসেন ও স্মৃতি আয়েশা বিন রামাসামি দম্পতি। ছবি: সংগৃহীত
এবার প্রেমের টানে বাংলাদেশের নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এসেছেন মালয়েশীয় তরুণী স্মৃতি আয়েশা বিন রামাসামি (২২)। এই তরুণী বাংলাদেশে এসে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ফরহাদ হোসেনকে (২৬) বিয়ে করেছেন। মালয়েশিয়ায় একই কোম্পানিতে চাকরির সুবাধে ফরহাদের সাথে পরিচয় হয় রামাসামির। একপর্যায়ে দুইজনের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠে।
চলতি বছর দেশে ফেরেন ফরহাদ। এর পর ফরহাদের প্রেমে ছুটে আসেন প্রেমিকা রামাসামি। গত ২৪ জুন ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন রামাসামি। পরে একই দিন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার হাজীপুর এলাকার বাসায় পৌঁছান তিনি।
জানা যায়, রামাসামি বাংলাদেশে আসার পর দিন ২৫ জুন এফিডেভিটের মাধ্যমে ফরহাদ ও স্মৃতি আয়েশা বিন রামাসামি বিয়ে করেন। অনেকেই মালয়েশীয় নববধূকে দেখতে ছুটে আসছেন ফরহাদের বাড়িতে। ভিনদেশী কন্যা পেয়ে খুশি ফরহাদের পরিবার। বর্তমানে চৌমুহনী পৌরসভার হাজীপুর এলাকার বাসায় ফরহাদের সঙ্গে সংসার করছেন মালয়েশীয় এই তরুণী।
ফরহাদ জানান, তিনি মালয়েশীয় একটি কোম্পানিতে প্রায় পাঁচ বছর চাকরি করার পর চলতি বছর দেশে ফিরে আসেন। কর্মক্ষেত্রে তাদের দুজনের পরিচয়। এক সময় পরিচয় প্রেমের সম্পর্কে রূপ নেয়। একপর্যায়ে তারা দুজই বিয়ে করার সিন্ধান্ত গ্রহণ করেন। এর পর রামাসামি বাংলাদেশে আসেন। তিনি আসার একদিন পরই তারা বিয়ে করেন।
বিয়ের পর ভাঙা ভাঙা বাংলায় রামাসামি বলেন, সকলে আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
আয়শা বিন রামাসামি আরও বলেন, তিনি ফরহাদকে ভালোবাসেন। শ্বশুর বাড়ির লোকজন অথিতিপরায়ণ। সবার আন্তরিকতা খুব ভালো লাগছে। শ্বশুরের পরিবারের সবাই তাকে আপন করে নিয়েছেন। বাংলাদেশি খাবার এবং পরিবেশ তার ভালো লেগেছে। এটা তার স্বামীর দেশ। এ দেশকে তিনি ভালোবাসেন।