Logo
Logo
×

সারাদেশ

পাহাড়ে জমে উঠেছে কুরবানির পশুরহাট, কদর বেশি পাহাড়ি গরুর

Icon

সুশীল প্রসাদ চাকমা, রাঙামাটি

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৩, ০৬:২১ পিএম

পাহাড়ে জমে উঠেছে কুরবানির পশুরহাট, কদর বেশি পাহাড়ি গরুর

শেষ মুহূর্তে রাঙামাটিতে জমে উঠেছে কুরবানির পশুরহাট। হাটে আসছে পর্যাপ্ত পশু। এসব পশুর মধ্যে রয়েছে পাহাড়ি, দেশি ও বিদেশি গরু এবং ছাগল। রাঙামাটি জেলা সদরে পৌর ট্রাক টার্মিনালে বসানো হয়েছে সবচেয়ে বড় পশুরহাট।

এছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলা সদরে বসানো হয়েছে পশুরহাট। এসব পশুরহাটে অন্তত ২০০ কোটি টাকা লেনদেন হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ।

অন্যদিকে জেলা সদরের পাশাপাশি লংগদু উপজেলার মাইনীমুখবাজার এবং বাঘাইছড়ি উপজেলা সদরে বসানো হয়েছে বৃহত্তর পশুরহাট। এসব হাটে জমজমাট বেচাকেনা চলছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর পাওয়া গেছে।

লংগদুর মাইনীমুখবাজারের পশুরহাটে আট কোটি এবং বাঘাইছড়ি উপজেলা সদরের পশুরহাটে পাঁচ কোটি টাকা লেনদেন হবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন।

সরেজমিন দেখা গেছে, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে রাঙামাটি জেলা সদরে বসানো কুরবানির পশুরহাটে বেচাকেনা জমে উঠেছে। হাটে পাহাড়ি এলাকায় প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা পাহাড়ি গরুর কদর বেশি। তবে দাম হাঁকা হচ্ছে বেশি। এতে হতাশা ব্যক্ত করছেন ক্রেতারা। জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এ কুরবানির পশুরহাট ইজারা দিয়েছে রাঙামাটি পৌরসভা।

জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা ডা. বরুণ কান্তি ধর জানিয়েছেন, সদরসহ রাঙামাটি জেলায় পশুরহাটে এ বছর অন্তত ২০০ কোটি টাকার লেনদেন হবে। এসব হাটে প্রায় ৪০ হাজার কুরবানি পশু বেচাকেনা হতে পারে- যেগুলোর মধ্যে ২০ হাজার পশু জেলায় কুরবানি দেওয়া হবে এবং ২০ হাজার পশু জেলার বাইরে বিক্রি হয়ে যাবে। রাঙামাটি জেলায় সব মিলিয়ে মোট ১৯টি পশুরহাট বসানো হয়েছে।

কুরবানি পশুরহাটের ইজারাদাররা জানান, জেলা সদরসহ প্রতিটি হাটে পর্যাপ্ত পশু আসছে। হাটের  নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সিসিটিভি বসিয়ে মনিটরিং করা হচ্ছে। জালটাকার নোট শনাক্ত করতে মেশিন বসানো হয়েছে।
  
রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ জানিয়েছেন, কুরবানি ঈদকে ঘিরে রাঙামাটিতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার রয়েছে। সার্বক্ষণিক পুলিশি নজরদারি রাখা হয়েছে।

অন্যদিকে স্থানীয়রা জানান, রাঙামাটি জেলার লংগদু উপজেলার বৃহত্তর পশুরহাট বসানো হয়েছে মাইনীমুখবাজারে। এটি গবাদিপশুর জন্য বিখ্যাত। ওই পশুরহাটে গরু, ছাগলসহ পর্যাপ্ত কুরবানি পশু আনা হচ্ছে। তবে দাম বেশি হাঁকা হচ্ছে বলে জানান ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা। এছাড়া ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতার সংখ্যা বেশি। এরপরও এবার মাইনীমুখবাজার পশুরহাটে ৭-৮ কোটি টাকা লেনদেন হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

লংগদু মাইনীমুখবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক মো. সোহেল জানান, ওই কুরবানি পশুরহাটে নিরাপদে ও সুষ্ঠু পরিবেশে পশু বেচাকেনা চলছে। পশুরহাট মনিটরিং করতে একটি বিশেষ উপকমিটি রয়েছে।

লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল উদ্দিন বলেন, মাইনীমুখবাজারের কুরবানি পশুরহাটে পুলিশের পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার রাখা হয়েছে। জালটাকার নোট শনাক্ত করতে লংগদু সোনালী ব্যাংক তদারকি করছে। পশুর রোগ বালাই শনাক্তে কাজ করছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ।

লংগদু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আকিব ওসমান বলেন, কুরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণ ও বাজারজাত করতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, ইউপি চেয়ারম্যান, সদস্য ও মাদ্রাসার শিক্ষকদের নিয়ে প্রয়োজনীয় বিষয়ে মতবিনিময় হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম