Logo
Logo
×

সারাদেশ

দুই কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ভারতে পালিয়েছেন ইমরুল 

Icon

পাবনা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৩, ০৯:৫৪ পিএম

দুই কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ভারতে পালিয়েছেন ইমরুল 

ব্যাংকের প্রায় ২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার ব্যবসায়ী ইমরুল কায়েস ও সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড ঈশ্বরদী শাখার ম্যানেজার মোশতাক আহমেদসহ (৪২) ব্যাংকের ৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদক পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সূত্রধর বাদী হয়ে নিজ কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ইমরুল কায়েস ঈশ্বরদী উপজেলার বিমানবন্দর সড়ক এলাকার রহিমপুর গ্রামের মহিত বিশ্বাসের ছেলে এবং মেসার্স কায়েস এন্টারপ্রাইজের মালিক। 

ইমরুল কায়েস পাবনার ঈশ্বরদী, আচঘরিয়া, চাটমোহর, ভাঙ্গুরা ও ফরিদপুর উপজেলার মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের (বিকাশ) ডিস্ট্রিবিউটরসহ ১ম শ্রেণীর ঠিকাদার ছিলেন। ম্যানেজার মোশতাক আহমেদ সাউথইস্ট ব্যাংক ঈশ্বরদী শাখার অ্যাসিসটেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট (এভিপি) ও রাজশাহী জেলার তেরখাদিয়া পশ্চিমপাড়া এলাকার ফারুক আহমেদের ছেলে।  

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড ঈশ্বরদী শাখার ম্যানেজার (অপারেশন) ও ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার ভালুকা গ্রামের আজিমুদ্দিন শেখের ছেলে নজরুল ইসলাম (৫৩), ব্যাংকের জুনিয়র অফিসার বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার তরফ সরতাজ গ্রামের নায়েব আলীর ছেলে শামীম আহমেদ (৩৫) ও ব্যাংকের ট্রেইনি ক্যাশ অফিসার রাজশাহী জেলার পবা উপজেলার কালুমের গ্রামের মো. আব্দুল হাকিমের ছেলে ইমরান (৩০)। 

দুদক ও এজাহার সুত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল অভিযুক্তরা কোনো প্রকার নগদ টাকা গ্রহণ না করেই চার কিস্তিতে ব্যবসায়ী ইমরুল কায়েসকে ৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকার পে-অর্ডার প্রদান করেন। দীর্ঘদিন পর ইমরুল কায়েস এক কোটি ৩৫ লাখ টাকা জমা দেন। এর পরেই কোন প্রকার টাকা জমা না দিয়েই ইমরুল কায়েস ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর বিআর০৪৯৬৪৯৪ পাসপোর্ট ব্যবহার করে সোনা মসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে চলে যান। এর পরে ব্যাংক বিভিন্নভাবে আরও ৩৮ লাখ ২৫ হাজার ৩২৮ টাকা আদায় করে। 

মামলার বাদী ও দুর্নীতি দমন কমিশন পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক সাধন চন্দ্র সুত্রধর জানান, সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অসৎ উদ্দেশ্যে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়ার পর দীর্ঘ অনুসন্ধানে নামে। পরে  দুদক পে-অর্ডার দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংক কর্মকর্তারা ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন বলে প্রমাণ পান। এছাড়া ব্যবসায়ী ইমরুল কায়েস এর বিরুদ্ধে কোনো প্রকার টাকা না দিয়ে পে-অর্ডার নিয়ে ভাঙ্গিয়ে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগও প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ৪২০, ৪০৯, ১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা মোতাবেক ওই ৫ জনকে আসামি করে গত ১৯ জুন নিজ কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করা হয়। 

দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক খায়রুল হক বলেন, মামলার পর প্রয়োজনীয় তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হবে। এর মধ্যে প্রয়োজন হলে আসামিদের গ্রেফতার করা হবে। 

এদিকে ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তাদের ইতোমধ্যে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করার পর তারা পলাতক রয়েছেন। ব্যবসায়ী ইমরুল কায়েসেরও কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম