Logo
Logo
×

সারাদেশ

গৃহবধূকে হত্যায় ছেলের নামে বাবার মামলা

Icon

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৩, ০৭:১১ পিএম

গৃহবধূকে হত্যায় ছেলের নামে বাবার মামলা

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ঘড়িষার বাজার এলাকায় নারগিছ বেগম (৪৫) নামের গৃহবধূ হত্যার ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে নড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের স্বামী মো. সেলিম মাঝি বাদী হয়ে তাদের বড় ছেলে মেহেদী হাসানকে (২৪) আসামি করে হত্যা মামলাটি করেন।

এর আগে বুধবার রাতে নারগিছকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মেহেদী হাসানকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় লোকজন।

পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নড়িয়া উপজেলার ঘড়িষার বাজারে ব্যবসায়ী মো. সেলিম মাঝির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। পাশে এক বাড়িতে স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে থাকেন। বুধবার দুপুরে নারগিছ একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিকালে বাড়িতে ফেরেন। তার স্বামী সেলিম ও মেজো ছেলে নাহিদ তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যান। আর ছোট ছেলে স্কুলে ছিল। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বড় ছেলে মেহেদী ঘরের দরজা বন্ধ করে মায়ের চোখে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারেন। এরপর বঁটি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক আহত করেন।

খবর পেয়ে সেলিম মাঝি এসে ঘরের দরজা ভেঙে স্ত্রীকে উদ্ধার করেন। চিকিৎসার জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত ৮টার দিকে তিনি মারা যান।

সূত্রে জানায়, করোনাকালে জাহিদ মাঝি ফেসবুকে জঙ্গিদের পোস্ট শেয়ার করে। জঙ্গিদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা আছে সন্দেহে তখন র্যাব তাকে গ্রেফতার করে। পরে তার বাবা তাকে জামিনে ছাড়িয়ে নেয়। হয়তোবা ওই সব কাজে ছেলেকে বাধা দেওয়ায় মাকে কুপিয়ে হত্যা করতে পারে বলে এলাকাবাসীর ধারণা।

নিহত নারগিছের স্বামী মো. সেলিম মাঝি বলেন, মেহেদী কেন এমন করল, আমরা বুঝতে পারছি না। ২০২১ সালে একটি মামলায় র্যাব তাকে গ্রেফতার করে। মামলাটি জঙ্গি তৎপরতা নাকি হেফাজতের সঙ্গে কোনো ঘটনা, তা আমার জানা নেই। সে সময় সাত মাস কারাগারে থাকার পর ওই মামলায় মেহেদী জামিন পায়। এরপর থেকে তাকে আমাদের কাছে রেখেছিলাম। বাড়িতে আলাদা একটি কক্ষে থাকত, নামাজ-রোজা করত।

এ ঘটনায় ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে মেহেদী হাসানকে বলতে শোনা যায়, আমার পেছনে আমার পরিবার দীর্ঘদিন থেকে ষড়যন্ত্র করে আসছিল। আমার দ্বীন থেকে আমাকে দূরে সরিয়ে রাখাতে আমি মেরেছি।

নড়িয়া থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গ্রেফতার মেহেদীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে তার আচরণ অসংলগ্ন। তার মানসিক সমস্যা থাকতে পারে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম