Logo
Logo
×

সারাদেশ

নাগরিকত্ব নিয়ে মিয়ানমারে ফিরতে চান রোহিঙ্গারা

Icon

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২০ জুন ২০২৩, ১০:২৬ পিএম

নাগরিকত্ব নিয়ে মিয়ানমারে ফিরতে চান রোহিঙ্গারা

নাগরিক অধিকার ও মর্যাদাসম্পন্ন প্রত্যাবাসনে নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরতে চান রোহিঙ্গারা। এটি নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ ও বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে অনুরোধ করেছেন রোহিঙ্গা কমিউনিটি।

বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনায় রোহিঙ্গারা এ দাবি জানিয়েছেন। বিশ্ব শরণার্থী দিবস উদযাপনে মঙ্গলবার দুপুরে উখিয়া-টেকনাফে শরণার্থী ক্যাম্পে দুই ঘণ্টা আলোচনা সভার আয়োজন করে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা।

সমাবেশে রোহিঙ্গা নেতারা বলেন, মিয়ানমার সরকার ২০১৭ সালে আরকান রাজ্যে সেনা অভিযান শুরু করে আমাদের মা-বাবা, ছেলে সন্তানদের পুড়িয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে। ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে বিতাড়িত করেছে নিজ দেশ থেকে। আমরা আর শরণার্থী হয়ে থাকতে চাই না। বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, আমাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করুন।
 
সভায় ১০টি বিষয় উল্লেখ করে রোহিঙ্গা নেতারা আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের অধিকার রক্ষা ও অবিলম্বে নাগরিকত্ব দিতে হবে। রোহিঙ্গাদের পরিচয় সংস্কৃতি এবং ভাষা পুনরুদ্ধার চায়। ন্যায় ও জবাবদিহিতার জন্য আইসিসি ও আইসিজে হস্তক্ষেপ চায়। দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য শক্তিশালী দেশ চীন ও রাশিয়াকে পাশে চাই আমরা।

শরণার্থী দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত সভায় রোহিঙ্গা নেতা মাস্টার কামাল বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র ও নাগরিকত্ব, নিজের বসবাসের বাড়ি ঘর ও জমি, সম্পত্তি ফেরত, জীবিকা ও চলাচলের অধিকার, নিরাপত্তা নিশ্চিত করে দ্রুত সময়ে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরতে চাই। ১৯৮২ সালের আইন বাতিলের মাধ্যমে আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করে দ্রুত প্রত্যাবাসনের করতে আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

টেকনাফ ২৬ নম্বর ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নেতা বজলুর রহমান বলেন, নাগরিকত্ব ও মর্যাদা নিয়ে বাঁচার অধিকার আমাদেরও আছে।

সাধারণ রোহিঙ্গারা বলেন, আরকান রাজ্য সেনাবাহিনীর দমন পীড়ন ও নির্যাতনের মুখে ২০১৭ সালে আমরা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার পর নানা জটিলতায় ছয় বছরেও প্রত্যাবাসন শুরু হয়নি। ইতোমধ্যে দাতা সংস্থাগুলো আমাদের অর্থ ও খাদ্য বরাদ্দ কমিয়ে দিয়েছে। ১ মার্চ থেকে জনপ্রতি রেশন ১২ ডলার থেকে কমিয়ে ১০ ডলার করা হয়েছিল। কিন্তু জুন মাসে আরও কমিয়ে জনপ্রতি মাসে আট ডলার অর্থাৎ ৮৪০ টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে। এ হিসাবে দৈনিক রেশন কমেছে ৩৩ শতাংশ। এতে আমরা উদ্বিগ্ন ও হতাশায় ভুগছি।

বিশ্ব শরণার্থী দিবসে আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করতে দুপুর থেকে শত শত রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ পোস্টার, প্ল্যাকার্ড, ব্যানার নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।

কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (যুগ্ম সচিব) মো. মিজানুর রহমান বলেন, বাস্তুচ্যুত এ বিপুল জনগোষ্ঠীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে আন্তর্জাতিক মহলে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানো হচ্ছে। মিয়ানমারের সঙ্গেও অব্যাহত রয়েছে আলোচনা। বিশ্ব শরণার্থী দিবসে আমাদেরও প্রত্যাশা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তারা (রোহিঙ্গারা) যেন তাদের নিজ দেশে ফেরত যেতে পারে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম